মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) নিজ বাসভবনে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে মহিউদ্দিন বলেন, সোমবার ১৪ দলের সভা করেছি। সেখানে এক মাসের আলটিমেটাম দিয়েছি।
গৃহকর নিয়ে নগর আ’লীগের প্রতিনিধি দলের বৈঠকের বিষয়ে কিছুই জানেন না দাবি করে মহিউদ্দিন বলেন, কে বৈঠক ডেকেছেন? কারা বৈঠক করবেন? আমাকে-তো কিছুই জানানো হয়নি।
২০০৮ সালের ১৭ অক্টোবর মহিউদ্দিনের মেয়ে ফৌজিয়া সুলতানা টুম্পা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মেয়ের নবম মৃত্যুবার্ষিকীতে নিজ বাসায় মেজবানের আয়োজন করেন মহিউদ্দিন।
বাসায় সাংবাদিকদের দাওয়াত দিয়ে বিভিন্ন সময় সমসাময়িক বিষয় নিয়ে কথা বললেও মঙ্গলবার ছিলেন একেবারে নিশ্চুপ। সাংবাদিকরা বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে কথা বলবেন বলে জানান।
টুম্পার বিষয়ে তিনি বলেন, তার নামে দুইটা স্কলারশিপ চালু আছে। আর কিছু করিনি। বুড়ো হয়ে গেছি। বাপ হিসেবে মেয়ের নামে মেজবানের আয়োজন করেছি। ছয়টা গরু কেটেছি। এর বেশি আর কি করতে পারব। আমি তো বুড়ো বাপ।
চট্টগ্রাম কলেজ-মহসিন কলেজের পরিস্থিতি নিয়ে মহিউদ্দিন বলেন, গুণ্ডাপাণ্ডা সব ছাত্রলীগ হয়ে গেছে। খালি মারামারি করে। ওরা ভেবেছে আমি বুড়ো হয়ে গেছি। সেজন্য আমাকে গুঁতা দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে নগর আ’লীগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন এবং থানা-ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, পুলিশ কর্মকর্তারা অংশ নেন। কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সভানেত্রী সাফিয়া খাতুনসহ কয়েকজন নেত্রীও মহিউদ্দিনের বাসায় আসেন। এসময় কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সদস্য ও সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী মহিউদ্দিনের পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেন।
প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী টুম্পা যখন মারা যান তখন ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী জরুরি অবস্থা চলছিল। বাবা মহিউদ্দিন ছিলেন কারাগারে। দুঃসহ সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে প্রায়ই স্মৃতিকাতর হন মহিউদ্দিন। কারাগারে পাঠানো টুম্পার চিঠি পড়ে একটি অনুষ্ঠানে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি।
টুম্পার বড় ভাই মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বর্তমান আ’লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
আরডিজি/আইএসএ/টিসি