ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কর্ণফুলীর পাড়ে সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণ শুরু নভেম্বরে

সুবল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭
কর্ণফুলীর পাড়ে সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণ শুরু নভেম্বরে কর্ণফুলীর পাড়ে সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের নকশা

চট্টগ্রাম: নভেম্বর মাস থেকে শুরু হচ্ছে কর্ণফুলী তীরবর্তী কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক কাম বাঁধ নির্মাণের কাজ। প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই বাঁধটি নির্মাণের জন্য এরইমধ্যে শেষ করেছে টেন্ডার প্রক্রিয়া।

এখন চলছে প্রকল্প অনুসারে ড্রয়িং-ডিজাইনের কাজ। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রকল্প পরিচালক ও সিডিএ’র প্রকৌশলী রাজীব দাশ বাংলানিউজকে জানান, কর্ণফুলী নদীর পাড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৪ ফুট উঁচু ও ৮০ ফুট প্রশস্ত চার লেনের রাস্তা কাম বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শিগগির শুরু হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে ড্রয়িং, ডিজাইন, অ্যালাইনমেন্টসহ টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে।

গত ১২ অক্টোবর টেন্ডার ড্রপের শেষ দিন ছিল। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কেননা এ প্রকল্পে চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, বক্সিরহাট, বৃহত্তর বাকলিয়া, চান্দগাঁও, কালুরঘাট, মোহরা এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ১২টি খালের ওপর ব্রিজ তৈরি করে রাস্তা নির্মাণ করা হবে এবং ব্রিজের সঙ্গে এসব খালের মুখে জোয়ার প্রতিরোধক রেগুলেটর ও পাম্প স্থাপন করা হবে। যাতে জোয়ারের পানি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। ২০২০ সালের জুনে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে।

সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বাংলানিউজকে জানান, নগরীর জলাবদ্ধতা ও যানযট নিরসনের লক্ষ্যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির গুরুত্ব অনুধাবন করেই একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন। সাড়ে ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পে রাস্তাটির তলা ২৫০ ফুট। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৪ ফুট উঁচু ও ৮০ ফুট প্রশস্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণ করা হবে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও বৃহত্তর বাকলিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য প্রকল্পটি যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।

সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন,  দেশি বিনিয়োগকারীদের এখানে আবাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুধু জলাবদ্ধতা নয় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরীর  আগ্রাবাদ, নিউমার্কেট ও কোতোয়ালী এলাকার যানবাহনগুলো শহরের ভেতরের সড়কগুলো ব্যবহার না করে কর্ণফুলীর তীরবর্তী সড়ক দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরীর উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিকে চলাচল করতে পারবে। একইভাবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যানবাহনগুলো শহরের উত্তর ও উত্তর-পূর্বদিক এবং কাপ্তাই অভিমুখে দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবে। অন্যদিকে, উত্তর, উত্তর-পূর্ব অংশ, কাপ্তাই থেকে আসা যানবাহনগুলো শহরের প্রধান সড়কসমূহে বাইপাস করে শাহ আমানত সেতু হয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী ও কক্সবাজারে দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৭

এসবি/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।