ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিশ্ব খাদ্য দিবস

সিভাসুতে দিনব্যাপী খাদ্য মেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭
সিভাসুতে দিনব্যাপী খাদ্য মেলা সিভাসুতে খাদ্য মেলার শোভাযাত্রা

চট্টগ্রাম: বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও দিনব্যাপী খাদ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। শোভাযাত্রা শেষে তিনি দিনব্যাপী খাদ্য মেলার উদ্বোধন করেন।

মেলায় মোট ১৫টি স্টলে বিভিন্ন নিরাপদ খাদ্যসামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। এর মধ্যে ৯টি স্টলে ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের তৈরি খাদ্যসামগ্রী প্রদর্শন করেন।

সকাল ১১টায় প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স রুমে বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অভিবাসনের ভবিষ্যৎ বদলে দাও, খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াও’ বিষয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ফুড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।

অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রায়হান ফারুকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম. নুরুল আবছার খান, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এম এ হালিম, বহিরাঙ্গণ কার্যক্রম পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এ সাইফুদ্দীন, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো মাসুদুজ্জামান, প্রক্টর অধ্যাপক গৌতম কুমার দেবনাথ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। কিন্তু আমাদের ভাতের বিকল্প অন্যান্য নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এর ফলে আমাদের উৎপাদন ও চাহিদার সমন্বয় সহজ হবে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী অভিবাসনের সাম্প্রতিক ধাক্কাটি এসেছে বাংলাদেশে। এদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সাহায্য প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। হাওড় ও উত্তরাঞ্চলের ভয়াবহ বন্যা এবং মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে আমাদের খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় প্রভাব পড়বে।  

উপাচার্য বলেন, গ্রামীণ উন্নয়নের ফলে প্রান্তিক কৃষক ও কৃষির উন্নতি হয়ে থাকে। কিন্তু সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা কাজ।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য গবেষণা করতে হবে। গবেষণায় নতুন প্যাটার্ন সৃষ্টি করতে হবে। খাদ্য হিসেবে ভাতের বিকল্প অন্যান্য নিরাপদ খাদ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। এর ফলে ভাতের ওপর থেকে চাপ কমবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৭

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।