রোববার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নগর আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। নাগরিক দুর্ভোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিডিএ চেয়ারম্যানের কাছে যান আওয়ামী লীগ নেতারা।
প্রতিনিধি দলের প্রধান ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, সিডিএ এবং সিটি করপোরেশনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিভিন্ন বিষয়ে দূরত্বের কথা বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকায় এসেছে। এটা এখন দৃশ্যমান বিষয়।
এই বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য সিডিএ চেয়ারম্যানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া মেলেনি।
তবে সূত্র জানিয়েছে, জবাবে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেছেন-সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কোন ধরনের দ্বন্দ্বে জড়াতে তিনি রাজি নন। বিভিন্ন সড়ক সম্প্রসারণের পর সিডিএ নিয়মানুযায়ী সেগুলো চসিককে বুঝিয়ে দিচ্ছে। আর সিডিএকে প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দিচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এই পর্যন্ত কোন প্রকল্পে সিডিএ ব্যর্থ হয়নি। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোন অবকাশ নেই।
আওয়ামী লীগের নেতারা জলাবদ্ধতা নিয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে চান সিডিএ চেয়ারম্যানের কাছে। জবাবে ছালাম বলেন, তিনটি ধাপে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত শুরু হবে। ইতোমধ্যে কাজ গুছিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতারা একজন দক্ষ কনসালট্যান্ট নিয়োগের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি সিডিএ লোকবল সংকট নিরসনের কথাও বলেছেন তারা।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, সিডিএ হাজার হাজার কোটি টাকা উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ পাচ্ছে। এরপরও চট্টগ্রামের এই অবস্থা কেন ? এখানে কেন বিনিয়োগ আসছে না। মানুষের দুর্ভোগ কেন কমছে না।
সিডিএকে আরও দায়িত্বশীল এবং জনগণের প্রতি আন্তরিক হয়ে কাজ করার অনুরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈমউদ্দিন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল ও জহিরুল আলম দোভাষ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক ও চন্দন ধর।
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
আরডিজি/টিসি