রোববার (১৫ অক্টোবর) মেয়রের বাসভবনে চসিকের অর্থ ও সংস্থাপন স্ট্যান্ডিং কমিটির ২৬তম সাধারণ সভায় মেয়র এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নগরীর আদিবাসী অসচ্ছল, হতদরিদ্র, দরিদ্র ও সীমিত আয়ের হোল্ডারদের পৌরকর মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চসিক।
সভায় সোমবার (১৬ অক্টোবর) থেকে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া গৃহকর, রেইট ও ট্রেড লাইসেন্স ফি পরিশোধে ১০০ ভাগ সারচার্জ মওকুফ এবং বিগত মেয়রের আমলে ধার্যকৃত স্ল্যাব নির্মাণ ফি কমিয়ে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ধার্য করা হয়। এ ছাড়াও ব্যক্তিমালিকানাধীন এলাকায় স্ল্যাব নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুট ফি ৫০০ টাকার স্থলে ২৫০ টাকা নির্ধারণ, ছোট ছোট লেন-বাই লেনে প্রতি বর্গফুট ফি ৩০০ টাকা এবং বাণিজ্যিক এলাকায় প্রতি বর্গফুট দেড় হাজার টাকার স্থলে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়।
মেয়র বলেন, সম্প্রতি পঞ্চবার্ষিকী পৌরকর পুনর্মূল্যায়ন সংক্রান্ত আপিল আপত্তি দাখিলের সময় নাগরিকদের স্বার্থে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
দায়বদ্ধতা ও অঙ্গীকার থেকে নগরবাসীর যেকোনো দাবি ও আপত্তি বিবেচনায় মেয়র একমত আছেন জানিয়ে বলেন, নাগরিক স্বার্থ বিবেচনায় রেখে চসিক যাবতীয় সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে রাজনীতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষক, ডাক্তারসহ নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষের সহযোগিতা চাই।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. শফিউল আলম। সভায় কমিটির সদস্য কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, ফারজানা পারভিন, ফারহানা জাবেদ, সদস্যসচিব মোহাম্মদ আবুল হোসেন এবং প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, অতিরিক্ত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বর্ধিত গৃহকর নিয়ে মেয়র নাছিরকে চিঠি মহিউদ্দিনের
গৃহকর সহনীয় পর্যায়ে আনার প্রস্তাব সাবেক মেয়র মনজুর
গৃহকরের বোঝা কমাতে ২৩ সাবেক কাউন্সিলরের চিঠি
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
এআর/টিসি