ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নমনীয় ছাত্রলীগ, ঘেরাওয়ের বদলে অবস্থান কর্মসূচি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭
নমনীয় ছাত্রলীগ, ঘেরাওয়ের বদলে অবস্থান কর্মসূচি ছবি: সোহেল সরওয়ার, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: সুদীপ্ত বিশ্বাসের হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজনকে গ্রেফতারের পর কিছুটা নমনীয় হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ।  এজন্য পূর্বঘোষিত সিএমপি কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাও থেকে সরে এসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রলীগ। 

রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে সিএমপির মূল ফটক থেকে আনুমানিক ৫০ গজ দূরে জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগ।   তবে এই অবস্থান কর্মসূচিও ছাত্রলীগকে পালন করতে হয়েছে পুলিশের বেস্টনীর মধ্যে।

জানতে চাইলে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ একজন হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে।   সকল খুনিকে ধরার জন্য আমরা পুলিশকে সময় দিতে চাই।

  একইসঙ্গে আমরা অবিলম্বে হত্যার নির্দেশদাতাকেও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।  

গত মঙ্গলবার নগরীর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত সমাবেশ থেকে সুদীপ্ত বিশ্বাসের খুনিদের গ্রেফতারের জন্য সিএমপিকে ৪৮ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল ছাত্রলীগ।   অন্যথায় সিএমপি কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছিল সংগঠনটি।

রোববার জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল ১১টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা সিএমপি কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচির প্রস্তুতি নিতে সেখানে জড়ো হন।   এসময় কোতয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম এসে তাদের কাছে কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চান।   তারা ঘেরাওয়ের কথা ‍জানালে পুলিশের পক্ষ থেকে এই ধরনের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়।

দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নগর ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ শীর্ষ নেতারা আসার পর অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।  এতে নগর ছাত্রলীগের নেতাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ‍হাবিবুর রহমান তারেকও বক্তব্য রাখেন।  

জানতে চাইলে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা হত্যার নির্দেশদাতাসহ সবাইকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।   অন্যথায় লালদিঘীর মাঠে সমাবেশ করে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেব। ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম 

ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের কোন বাধা এসেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাধা ঠিক নয়।   যেহেতু একজন হত্যাকারী গ্রেফতার হয়েছে, বিষয়টাতে আমরা আশ্বস্ত হয়েছি।   এখন আমরা খুনের নির্দেশদাতাসহ অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশ কি ভূমিকা নেয় সেটা পর্যবেক্ষণ করছি।

কর্মসূচি শেষে জেলা পরিষদ মার্কেটে ‘প্রতিকৃতি প্রতিবাদ’ শিরোনামে একটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেয় নগর ছাত্রলীগ।   এতে সুদীপ্ত বিশ্বাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা সোহেলের ছবি দিয়ে লেখা হয়, ‘ছাত্রলীগ নেতা হত্যার বিচার হবে না: সিএমপি’।

গত ৬ অক্টোবর নগরীর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ায় সুদীপ্ত বিশ্বাসকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করে দুর্বৃত্তরা।  

আটদিন পর ১৩ অক্টোবর (শুক্রবার) রাতে মোক্তারকে নগরীর বড়পোল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।   মোক্তার পরিবার নিয়ে ভোলায় পালিয়ে যাচ্ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন জানিয়েছেন, সুদীপ্ত হত্যায় মোক্তার প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।