মোক্তারকে গ্রেফতারের পর শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দিয়েছেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি-দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন।
মোক্তার সক্রিয়ভাবে এই খুনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন-এমন তথ্য দিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
খুনের মোটিভ কি-এর জবাবে মোস্তাইন বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই খুন। শত্রুতা ঠিক মোক্তারের সঙ্গে না, সে যাদের নাম বলেছে তাদের সঙ্গে।
খুনের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম মোক্তার প্রকাশ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, নামগুলো যাচাইবাছাই করছি।
কি নিয়ে শত্রুতা জানতে চাইলে বলেন, একটি কারণে শত্রুতা, তা নয়। ফেসবুকের একটা বিষয় ইতোমধ্যে আপনারা জেনেছেন। তবে একমাত্র সে কারণেই খুন হল কিনা তা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারিনি। একাধিক কারণ আছে। সব কারণই আমরা খতিয়ে দেখছি।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া মোক্তারের ছবির বিষয়ে জানতে চাইলে ডিসি মোস্তাইন বলেন, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক পরিচিতি বা দলের মধ্যে তার কোন পদ নেই। ওপেন প্রোগ্রামে যে কত লোক যায় আর সেলফি তুলে তার কোন হিসাব নাই।
রাজনৈতিক চাপ আছে কিনা জানতে চাইলে বলেন, ঘটনার আটদিনের মাথায় একজন প্রত্যক্ষ আসামি গ্রেফতার করলাম। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় আমাদের ওপর কোন রাজনৈতিক চাপ নেই। কোন চাপের মাধ্যমে এরকম একটি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চাপিয়ে রাখা যাবে না।
সুদীপ্ত খুনের মামলায় মোক্তারের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মোস্তাইন।
সিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো.আব্দুর রউফ, সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) জাহাঙ্গীর আলম, সদরঘাট থানার ওসি মর্জিনা আখতার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) রহুল আমিনও ছিলেন।
গত ৬ অক্টোবর নগরীর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ায় সুদীপ্ত বিশ্বাসকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করে দুর্বৃত্তরা। ১৩ অক্টোবর রাতে মোক্তারকে নগরীর বড়পোল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৭
আরডিজি/আইএসএ/টিসি