বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা ও বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিস, চট্টগ্রাম এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) যৌথভাবে ‘সুস্থ সবল জাতি চাই, সব বয়সে ডিম খাই’ স্লোগানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, আপনারা জানেন ডিম নিয়ে ভোক্তাদের মাঝে অনেক অহেতুক বিভ্রান্তি রয়েছে, আবার পরিকল্পিতভাবেও অনেক বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। যেমন সাম্প্রতিক সময়ে তথকথিত ‘নকল ডিম’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বজ্ঞানহীন বিভ্রান্তিকর খবর ছড়ানো হয়েছে এবং ক্ষেত্র বিশেষে মূল ধারার মিডিয়াকেও তারা বিভ্রান্ত করতে পেরেছে।
কিন্তু ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের’ নিবিড় তদন্তে দেখা গেছে এগুলো সবই ভিত্তিহীন এবং এটিই সংগত। ’-যোগ করেন মন্ত্রী।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী আরও বলেন, ডিমের কোলেস্টেরল সংক্রান্ত বিভ্রান্তির বিষয়টি নিয়েও দেশ বিদেশের স্বনামধন্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যে সঠিক যুক্তি ও তথ্য দিয়ে তা নাকচ করেছেন। কাজেই এ ধরণের বিভ্রান্তি দূরীকরণে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। ’
প্রশ্নাতিতভাবেই ডিম একটি পুষ্টিকর এবং নিরাপদ খাদ্য মন্তব্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার জানামতে পৃথিবীতে এমন কোনো সম্প্রদায় বা ধর্ম নেই যেখানে ডিম খেতে বারণ করা হয়েছে। ’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি রকিবুর রহমান টুটুল।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।
অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুদ্দিন, বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ হাসিনা আক্তার লিপি, অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহেদা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাপানিরা বছরে ডিম খায় ৩৬০টি, বাংলাদেশিরা ৫২টি
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
টিএইচ/টিসি