ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাপানিরা বছরে ডিম খায় ৩৬০টি, বাংলাদেশিরা ৫২টি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭
জাপানিরা বছরে ডিম খায় ৩৬০টি, বাংলাদেশিরা ৫২টি ডিম

চট্টগ্রাম: পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ডিম খাওয়ার পরিমাণ বাড়ছে জানিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘জাপানে বাৎসরিক ডিম খাওয়ার পরিমাণ জনপ্রতি ৩৬০টি। সেখানে বাংলাদেশে এই সংখ্যা এখনও মাত্র ৫২টির মতো।’

বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

২০ মিনিটেই শেষ ২৫ হাজার ডিম!

জেলা ও বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিস, চট্টগ্রাম এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) যৌথভাবে ‘সুস্থ সবল জাতি চাই, সব বয়সে ডিম খাই’ স্লোগানে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ২৫-৩০ বছর আগে আমাদের ডিম খাওয়ার চিত্রটি আরও খারাপ ছিল। সে হিসেবে আমরা অগ্রগতির পথেই রয়েছি।

তবে দেশের সকল মানুষের পুষ্টি শতভাগ নিশ্চিতে আমাদের এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে ডিমের দাম ব্যাপক হারে কমে যাওয়ার বিষয়টি চিন্তায় ফেলেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রান্তিক খামারিদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। কারণ খামারিরা ন্যায্যমূল্য পেলেই তারা অধিক নিরাপদ উৎপাদন ব্যবস্থা ধরে রাখতে সক্ষম হবে। সেজন্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সম্মিলিত পরিকল্পনা এবং তার প্রয়োগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। ’

ডিম সম্পর্কে সচেতনতা আরও বাড়ানো উচিত মন্তব্য করে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, দরিদ্র শ্রেণির মানুষরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছেন বেশি। সেক্ষেত্রে ডিম খুবই সহায়ক হতে পারে। সেজন্যই ডিম সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো আবশ্যক।

স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে সেদ্ধ ডিম দেওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে সেদ্ধ ডিম দিলে একদিকে যেমন অপুষ্টি দূর হবে, মেধার বিকাশে সহায়ক হবে অন্যদিকে ডিমের কনজাম্পশনও বাড়বে।

তিনি বলেন, পোল্ট্রি শিল্পের পক্ষ থেকে দিনে একটি ডিম খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। আমি বলি দুটো নয় কেনো? এখন তো তিনটা ডিম খাওয়াকেও স্বাভাবিক বলছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরাই। যারা কম খাচ্ছেন তাদের আমি বলবো-পরিমাণ বাড়ান। অন্তত দিনে দুটি করে ডিম খান। আগে একটি ডিম তিন-চারজনকে ভাগাভাগি করে খেতে হতো। এখন কিন্তু গোটা ডিমই আমরা খাই। সময়কে আরও পাল্টাতে হবে। কারণ আমাদের আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও বাংলাদেশ পোল্ট্রি ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি রকিবুর রহমান টুটুল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।

অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুদ্দিন, বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ হাসিনা আক্তার লিপি, অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহেদা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৭

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।