ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘মনে হচ্ছে আমি আইজি হয়েছি’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৭
‘মনে হচ্ছে আমি আইজি হয়েছি’ কনস্টেবল থেকে এএসপি হওয়া আব্দুল ওহাব

চট্টগ্রাম: কনস্টেবল হিসেবে পুলিশে চাকরি শুরু করেছিলেন আব্দুল ওহাব।  প্রায় ৪০ বছরের চাকরি জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে পেয়েছেন বড় ধরনের স্বীকৃতি।  সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইনে পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ওহাব।

কনস্টেবল থেকে এএসপি হওয়াকে আব্দুল ওহাব মনে করছেন তিনি যেন পুলিশের সর্বোচ্চ মহাপরিদর্শক (আইজি) পদে পৌঁছেছেন।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি কনস্টেবল থেকে এএসপি হয়েছি।

  আমার মনে হচ্ছে, আমি আইজি হয়েছি।   কারণ কমিশন র‌্যাংকে যারা আসেন, তাদের সবাই কিন্তু আইজি হতে পারেন না।
  পুরো ব্যাচের মধ্যে একজন কিংবা দু’জন হন।   সেই হিসেবে চাকরিজীবনে এটা আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

সোমবার (০৯ অক্টোবর) মাসিক কল্যাণ সভায় আব্দুল ওহাবকে এএসপি হিসেবে র‌্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা।   এসময় সেখানে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, আব্দুল ওহাব পুলিশ বাহিনীতে থেকে সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করেছেন।   বাহিনীর কাছ থেকে এর প্রতিদান তিনি পেয়েছেন।   তিনি যাতে আরও দক্ষতার সাথে কাজ করে বাহিনীর সুনাম উজ্জ্বল করতে পারেন, আমি সেই কামনা করছি।   পুলিশ সদস্যদের জন্য আব্দুল ওহাব একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম 

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রেজাউল মাসুদ বাংলানিউজকে বলেন, ১৯৭৭ সালে কনস্টেবল পদে যোগ দেন আব্দুল ওহাব।   তারপর নায়েক, এএসআই, এসআই, পরিদর্শক থেকে এএসপি পর্যন্ত হয়েছেন।   এটা খুব সামান্য বিষয় নয়।   আমরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে হৃদয় দিয়ে তাকে বরণ করে নিয়েছি।

আব্দুল ওহাব জানালেন, তার চাকরির মেয়াদ আছে আর পাঁচ মাস।   এএসপি হিসেবে তার পদায়ন হয়েছে এপিবিএন-এ।   ১৯৭৭ সালে যোগদানের পর থেকে ওহাব ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার এবং চট্টগ্রামে পুলিশের বিশেষ শাখায় কাজ করেছেন।   তবে কোনদিন তিনি থানায় চাকুরি করেননি।

ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার নবপুর ইউনিয়নের মজুপুর গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রউফের ছেলে ওহাব।   ব্যক্তিজীবনে দুই সন্তানের জনক ওহাবের ছেলে পড়ছে নবম শ্রেণীতে। আর মেয়ে স্নাতক শ্রেণীতে পড়ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭

আরডিজি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।