শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল সোয়া ৭টার দিকে নগরীর সদরঘাট থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সুদীপ্ত বিশ্বাস সদরঘাট থানার ৭১৫/দক্ষিণ নালাপাড়ার বাবুল বিশ্বাসের ছেলে।
সরকারি সিটি কলেজ থেকে সদ্য মাস্টার্স পাস করে বের হয়েছিলেন তিনি।
সদরঘাট থানার ওসি মর্জিনা আকতার বাংলানিউজকে জানান, সকাল সোয়া ৭টার দিকে দুটি ছেলে এসে সুদীপ্তকে বাসা থেকে ডেকে বের করে নিয়ে যায়। একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে তাকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
‘আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি গ্রুপিং রাজনীতির কোন্দলের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখছি কারা জড়িত ছিল। ’-বলেন ওসি মর্জিনা
তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সুদীপ্তর ফেসবুক পোস্টে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে বিভেদের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে সিটি কলেজ ছাত্রসংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। সুদীপ্ত ছিলেন সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য। নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সাবেক নেতাদের প্রতি কটাক্ষ করছিলেন তিনি। এর জেরে এই হত্যাকাণ্ড কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ছাত্রলীগ নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের সময় সুদীপ্ত বিশ্বাস যারা পদ পায়নি তাদের গ্রুপে অর্থাৎ বিদ্রোহী গ্রুপে ছিলেন। তারা নতুন কমিটির বিরোধিতা করেছিলেন। পরে সুদীপ্তকে কমিটিতে সহ সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমুর অনুসারী হিসেবে রাজনীতি করে আসছিলেন। ইমু চট্টগ্রামের রাজনীতিতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৭
আরডিজি/আইএসএ/টিসি