ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আইনি প্রক্রিয়া বা বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব

ব্যুরো এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭
আইনি প্রক্রিয়া বা বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: জাতিসংঘ পার্ক নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ থাকলে আইনি প্রক্রিয়া বা বোঝাপড়ার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ সমাধান সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রেডিসন ব্লু চিটাগাং বে ভিউতে ‘চিটাগাং স্ট্র্যাটেজিক আরবান মাস্টারপ্ল্যান' শীর্ষক ওয়ার্কশপের উদ্বোধনকালে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেয়র এ মন্তব্য করেন।

পূর্তমন্ত্রীকে ‘শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার ব্যক্তিত্ব’ আখ্যা দিয়ে মেয়র বলেন, উনি আমাদের মুরুব্বি।

অভিভাবক। অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি না করে আলোচনার মাধ্যমে জাতিসংঘ পার্ক শুধু নয় চট্টগ্রামের যেকোনো সমস্যার সমাধান করতে পারি।
তাহলে আর ভুল বোঝাবুঝির সুযোগ থাকে না। নগরবাসীও উপকৃত হয়।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জাতিসংঘ পার্কের এক একরের একটি অংশ চসিকের নামে নামজারি করা। নিয়মানুযায়ী যার বা যে প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারি করা হয়, তারাই সে জায়গার মালিক। চসিকই এই জায়গার খাজনা প্রদান করে থাকে। এটি চসিকের দখলেও আছে।

প্রসঙ্গক্রমে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা আ জ ম নাছির বলেন, ‘সবচেয়ে অবাক কাণ্ড, মঞ্জু ভাই (এম মনজুর আলম) জাতিসংঘ পার্কে বিশাল জিমনেসিয়াম করেছিলেন। তখন মোশাররফ ভাই মন্ত্রী ছিলেন। তখন তো কিছু বলেননি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে এখানে বসিয়েছেন। ’

দুর্গন্ধ আর হকার প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, যে মুহূর্তে আমরা নিউমার্কেট, স্টেশন রোড, জুবিলি রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় হকারদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনছি। ফুটপাত দখলমুক্ত করে পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করছি, তখন মোশাররফ ভাইয়ের এ ধরনের বক্তব্য আমাকে হতবাক করেছে। আমরা কোতোয়ালি থানা এলাকার ফুটপাত সবার আগে উন্মুক্ত করছি। পুরো শহরের ফুটপাত একইভাবে উন্মুক্ত করা হবে। ইতিমধ্যে হকারদের তালিকা তৈরিসহ পরিচয়পত্র তৈরি, একই রঙের ছাতা সরবরাহের কাজ এগিয়ে চলছে। বিলবোর্ড উচ্ছেদের পর ফুটপাত পথচারীদের ফিরিয়ে দেওয়াটা ছিল আমার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জের। আমি সফল হচ্ছি।

দুর্গন্ধ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ, রাতের বেলা বর্জ্য অপসারণ পদ্ধতি চালুর ফলে অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন চট্টগ্রামবাসী স্বস্তিতে আছেন। এটি নগরবাসীর বক্তব্য। অনেক উন্মুক্ত ডাস্টবিন আমরা ভেঙে ফেলেছি। সেই জায়গায় ফুলের বাগান করেছি। আমরা চাই একটি উন্মুক্ত ডাস্টবিনও থাকবে না চট্টগ্রামে। বর্জ্য দেখবে না নগরবাসী। এবার কোরবানির দিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করেছি আমরা।

দুর্গাপূজা উপলক্ষেও বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের নির্দেশ দিয়েছি। আগামী আট মাসের মধ্যে আমরা দৃশ্যমান অনেক কিছুই নগরবাসীকে উপহার দিতে পারব। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আইন ও বিধি মেনেই আমরা প্রতিটি কাজ করছি। এখন সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে ঢালাও অভিযোগের দিন শেষ। ’

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী ও প্রধান সমুদ্রবন্দরের শহর হিসেবে চট্টগ্রামকে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৭

টিসি

**‘চট্টগ্রামে পার্ক করতে চাইলেই আপত্তি আসে’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।