ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জাহাজের রেজিস্ট্রেশন: কাস্টমসের হয়রানিতে শিপিং এজেন্টরা

মো.মহিউদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
জাহাজের রেজিস্ট্রেশন: কাস্টমসের হয়রানিতে শিপিং এজেন্টরা ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: পণ্য নিয়ে আসা বিদেশি জাহাজের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কাস্টমসের সহকারী কমিশনারের (আমদানি) মৌখিক নির্দেশে প্রত্যেক মাসের ২৪ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত বিদেশি জাহাজের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রাখায় ব্যবাসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা ছাড়া মাসের শেষ পস্তাহে বিদেশি জাহাজের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রাখার কারণে পণ্য খালাসের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসেসিয়েশনের চেয়ারম্যান আহসানুল হক চৌধুরী। তবে এ অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার এ এফ এম আবদুল্লাহ।

জানা গেছে, কন্টেইনার, বাল্ক, রো-রো এবং ট্যাংকার এই চার ধরনের জাহাজ করে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের সমুদ্র সীমায় পৌঁচার অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয় এজেন্ট আইজিএম দাখিল করে।

এর ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে থাকে। জাহাজটি বহির্নোঙ্গরে পৌঁছার সাথে সাথে পণ্য খালাস এবং আমদানি-রফতানি সংক্রান্ত কাজ যাতে দ্রুত করতে পারে সেজন্য স্থানীয় এজেন্ট চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে জানিয়ে দেন।

আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনারের মৌখিক নির্দেশে বিগত কয়েক মাস ধরে জাহাজ বহির্নোঙ্গরে পৌঁছার দালিলিক প্রমাণসহ আইজিএম দাখিল করলেই রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ২৪ থেকে ৩০-৩১ তারিখ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।

অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারকে বিষয়টি অবহিত করে সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু কাস্টমস কমিশনার এখানো কোন ব্যবস্থা নেননি।

জাহাজের রেজিস্ট্রেশন প্রদানে বিলম্ব হওয়ায় শিপিং এজেন্ট বন্দর থেকে পণ্য খালাসের অনুমতি পেতে দেরি হচ্ছে। এতে শিপিং এজেন্ট, আমদানিকারক ও রফতানিকারক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া লিখিত নির্দেশ না থাকায় স্থানীয় এজেন্টদের বিদেশি প্রিন্সিপালের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে।

‘দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য গতিশীল করতে চট্টগ্রাম বন্দর-কাস্টমস ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে বন্দর-কাস্টমস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভাও করেছে। কিন্তু সহকারী কমিশনারের এমন সিদ্ধান্তে দ্রুততার সঙ্গে কার্যসম্পাদক বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ’

জানা গেছে, পানামা পতাকাবাহী লুইস শোনা ও ক্রাউন ভার্সু বাল্ক জাহাজ দুটি আইজিএম দাখিল করে রেজিস্ট্রেশন পাচ্ছে না। লুইন শোনা ২৩ সেপ্টেম্বর ও ক্রাউন ভার্সু সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) আইজিএম দাখিল করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার এ এফ এম আবদুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেণ, ডলারের দাম উঠানামার কারণে দুটি গাড়ির জাহাজের ক্ষেত্রে আমরা রেজিস্ট্রেশন বন্ধ করেছিলাম। কারণ মাসের শেষের দিকে আসা জাহাজের গাড়ির ক্ষেত্রে আমরা রাজস্ব কম পাচ্ছিলাম। তবে অন্যান্য জাহাজের ক্ষেত্রে আগের নিয়মে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব অভিযোগ সঠিক নয়। আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি। দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এখন কোন সমস্যা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭

এমইউ/টিসি  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।