নির্দিষ্ট সময়ে খালাস না নেওয়ায় নষ্ট হয়ে যায় এসব ফল। এতে প্রায় ৮ কোটি টাকা বাজারমূল্যের মাল্টা ও আপেল ধ্বংসের উদ্যোগ নেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী কমিশনার (নিলাম) আহসান উল্লাহ বিকেল ৪টায় বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ১০টায় মাল্টা-আপেল ধ্বংসের কাজ শুরু হয়েছে। এখনো কাজ চলছে।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ধ্বংসের তালিকায় রেখেছে ২১ কনটেইনার (প্রতিটি ৪০ ফুট লম্বা) পণ্য। এর মধ্যে মাল্টার পরিমাণ ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫২০ কেজি। আপেলের পরিমাণ ৪৭ হাজার ৮৮৭ কেজি। এ ছাড়া ১২ হাজার ৬৫০ কেজি পেঁয়াজ রয়েছে।
আমদানিকারকরা খালাস না নেওয়ায় এসব ফল নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল জানিয়ে কাস্টমসের সহকারী কমিশনার আহসান উল্লাহ বলেন, এজন্য ফলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তা মানুষের খাওয়ার উপযোগী নয় বলে প্রতিবেদন পাওয়া যায়। তাই এসব ফল ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, স্টেশন রোডের চট্টগ্রাম ফল বাণিজ্য লিমিটেডের আমদানি করা এক কনটেইনার মাল্টা মিসর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয় গত ৬ মার্চ। চট্টগ্রাম ফলমন্ডি এলাকার এফ কে ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের পাঁচ কনটেইনার, মরিয়ম এন্টারপ্রাইজ, রামিসা এন্টারপ্রাইজ, এফ ট্রেড করপোরেশন, সোহরাব এন্টারপ্রাইজসহ নয়টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা ফল ধ্বংস করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
এমইউ/আইএসএ/টিসি