তিনি বলেন, ‘ওপার (মিয়ানমার) থেকে কিছু বেড এলিমেন্টস (খারাপ লোক) বাংলাদেশে ঢুকেছিল। এদেশেও কিছু আছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম সীমান্তের তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে মিয়ানমারের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের যাতে মিয়ানমার ফিরিয়ে নিয়ে যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
কবে নাগাদ এই আলোচনা হবে তা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়তে চাই না। ’
তিনি বলেন, আমাদের পাশে বর্ডার। এখান থেকে উসকানি আসবে। কিন্তু আমরা এসব উসকানির ফাঁদে পা দেব না। কারণ এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ।
ত্রাণ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রচুর ত্রাণ জমা আছে। এখনো অনেক ত্রাণ আসছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে ১ মাস হয়ে গেল। এই ১ মাসে ত্রাণ নিয়ে লুটপাট, কোন ধরনের অনিয়ম-বিশৃঙ্খলার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এটা খুশির বিষয়। অতীতে বিভিন্ন সংকটের সময় আমরা দেখেছি ত্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। কিন্তু এবার এরকম কিছু হয়নি, ত্রাণ নিয়ে কোন ছিনিমিনি হয়নি।
এসময় আরও বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭
আরডিজি/আইএসএ/টিসি