রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেয়রের আন্দরকিল্লা বাসভবনে নগরীর পূজামণ্ডপগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের হাতে অনুদান তুলে দেন মেয়র। এ ছাড়া চসিক পরিচালিত পূজা উদযাপন পরিষদকে ২২ লাখ টাকা, চারটি সেবক কলোনির পূজা উদযাপন কমিটিকে ১ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, দেশে নানামুখী সংকট বিদ্যমান। একদিকে মিয়ানমার থেকে আগত শরণার্থী অপরদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৩০ জেলার লাখ লাখ মানুষের আহাজারি।
মেয়র বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতন বাবদ ২০ লাখ টাকা, ওষুধপত্র বাবদ ৫ লাখ টাকা এবং বন্যাদুর্গতদের জন্য চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক দিনের বেতন বাবদ প্রায় ২০ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার শরণার্থীদের সেবার জন্য চসিক থেকে স্বেচ্ছাসেবক পাঠানো হবে।
মেয়র বলেন, দুর্গোৎসব শেষে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য পতেঙ্গা ও কালুরঘাটে যাবতীয় ব্যবস্থা চসিক গ্রহণ করে আসছে এবং তা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. সলিম উল্লাহ বাচ্চু। আলোচনা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার, মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অরবিন্দ পাল অরুণ, সাধারণ সম্পাদক সুজিত দাশ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপন অর্পন ব্যানার্জি, লায়ন আশিষ ভট্টাচার্য্য।
উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, উপ সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিম, নির্বাহী প্রকৌশলী ঝুলন দাশ, পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, মিথুন মল্লিক প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
এআর/টিসি