ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামের নদীগুলো হুমকির মুখে

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
চট্টগ্রামের নদীগুলো হুমকির মুখে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ১৯৬৭ সালে নেওয়া নগর পরিকল্পনাটি ভারতের চেন্নাই শতকরা ৬৯ ভাগ বাস্তবায়ন করলেও চট্টগ্রামে তা বাস্তবায়ন হয়নি। একই রকম পরিকল্পনা ১৯৯৫ সালেও গ্রহণ করা হয়। দুটো পরিকল্পনাতেই নদীর পানির প্রবাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানি সংরক্ষণের বিষয়গুলো উল্লেখ ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নের অভাবে চট্টগ্রামের নদীগুলো হুমকির মুখে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
‘দখল দূষণমুক্ত প্রবহমান নদী; বাঁচবে প্রাণ ও প্রকৃতি' এ প্রতিপাদ্য ধারণ করে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে নদী দিবস।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির উদ্যোগে 'চট্টগ্রামের নদী: বর্তমান অবস্থা ও আমাদের করণীয়' শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. গাজী আসমত চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন হালদা গবেষক ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া।

উপাচার্য বলেন, 'নদী নিয়ে অামাদের ভাবতে হবে, গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের ভারসাম্য রক্ষায় এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় নদী নিয়ে অামরা তেমন গুরুত্ব দিই না। ১৯৬৭ ও ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রামের নগর পরিকল্পনাগুলো ভারতের চেন্নাই শতকরা ৬৯ ভাগ বাস্তবায়ন করে তবে চট্টগ্রামে তার কোনো বাস্তবায়ন নেই। ফলে হালদাসহ চট্টগ্রামের নদীগুলো হুমকির মুখে রয়েছে। '

ফ্লাইওভারের সমালোচনা করে উপাচার্য বলেন, 'নদীমাতৃক দেশে নদীপথকে কাজে লাগাতে পারিনি। বড় বড় ফ্লাইওভার না করে, নদীপথকে আধুনিক করা হলে নদীর উপযোগিতা বৃদ্ধি পেত।

সভায় বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. কামরুল হুদা, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সহ সভাপতি প্রফেসর ইলিয়াস আলী, নদী পরিব্রাজক দলের সভাপতি মনির হোসাইন, বাংলাদেশ রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলী সিদ্দিকী, আইডিএফের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শহীদুল আমিন, অ্যাকশন অ্যাইডের ব্যবস্থাপক শমসের আলী প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭

জেডইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।