ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

র‌্যাব-পুলিশের সোর্স পরিচয়ে গুমের হুমকির অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭
র‌্যাব-পুলিশের সোর্স পরিচয়ে গুমের হুমকির অভিযোগ র‌্যাব-পুলিশের সোর্স পরিচয়ে গুমের হুমকির অভিযোগ

চট্টগ্রাম: র‌্যাব-পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে মো. মহসিন নামের এক ‘সন্ত্রাসী’ ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে গুম করে ফেলার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মো. ইয়াকুব সুনিক নামের এক দুবাই ব্যবসায়ী।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ তোলেন তিনি।

মহসিন চান্দগাঁও থানার মুন্সির বাড়ির মৃত আবদুস সবুরের পুত্র।

প্রায় দু বছর আগে তার দুই ভাই ফরিদ প্রকাশ টাইগার ফরিদ ও আবু ছিদ্দিক প্রকাশ ছুরি আবু গণপিটুনিতে নিহত হন। এই দুজন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে সে সময় গণমাধ্যমে সংবাদ বেরিয়েছিল।

অন্যদিকে ‘ভুক্তভোগী’ মো. ইয়াকুব সুনিক একই থানার মনু কন্ট্রাক্টর বাড়ির মুন্সী মিয়ার পুত্র।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিজেকে দুবাই বিজনেসম্যান কাউন্সিলের নির্বাহী সদস্য দাবি করা মো. ইয়াকুব সুনিক বলেন, ‘এলাকার কিছু পরিচিত সন্ত্রাসীর অত্যাচারে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। মহসিন তার দুই ভাইয়ের মৃত্যুকে পুঁজি করে এলাকার সচ্ছল লোকজনকে আসামি করে নানাভাবে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। মহসিন এলাকায় নিজেকে র‌্যাব-পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয় দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে বড় অংকের চাঁদাবাজিতে লিপ্ত রয়েছে। ’

প্রবাসে থাকার কারণে মহসিন তাকে অনেক দিন ধরে টার্গেট করেছে দাবি করে মো. ইয়াকুব সুনিক বলেন, ‘ঈদুল আজহার ছুটিতে আমি বাড়িতে আসলে মহসিন আরও সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে আমার বাসায় এসে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে গুম করে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়। এরপর থেকে বিভিন্ন জনের মাধ্যমে নানা হুমকি দিয়ে আসছে। ’

ভয় আর আতঙ্কে দ্রুত দেশ ছাড়েন জানিয়ে মো. ইয়াকুব সুনিক বলেন, আমি দুবাই চলে গেলেও সন্ত্রাসীদের তৎপরতা থামেনি। এর প্রেক্ষিতে ৬ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যূলেজে আমি অভিযোগ করি। পরে বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের নেতাদের পরামর্শে আমি বাংলাদেশে আসি। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় চান্দগাঁও থানায় অভিযোগ করতে যাই। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক আবদুর রহিমকে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেন। কিন্তু উল্টো আবদুর রহিম আমাকে মামলা তুলে নিতে হয়রানী করেন এবং ভিন্ন মামলায় জড়িয়ে গ্রেফতারের হুমকি দেন। ’

এ অবস্থায় তিনি নিজেকে এবং পরিবারের নিরাপত্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপির সহায়তা কামনা করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।