শুক্রবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এই তথ্য দেন বলে জানানো হয়েছে তথ্য অধিদপ্তরের (পিআইডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে।
মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত মানবিক সহায়তা প্রদান বিষয়ে এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
এ সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবর্সন কমিশনার মো.আবুল কালাম, পুলিশ সুপার ড. এএকেএম ইকবাল হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব মো. আশরাফুল আলম খোকন উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে এসেছে। এ সকল আশ্রয়প্রার্থীরা উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরকারি উদ্যোগে খাদ্য, পুষ্টি, সুপেয় পানি, স্যানিটেশনসহ সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে।
সরকারের সকল বিভাগ সম্মিলিতভাবে কাজ করছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, শরণার্থীদের জন্য ১২০০ স্যানিটারি ল্যাট্রিন ও ১২০০ নলকূপ বসানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫০০ স্যানিটারি ল্যাট্রিন ও ১০০ নলকূপ বসানো হয়েছে। এছাড়া আইওএম ৬০০ স্যানিটারি ল্যাট্রিন তৈরি করবে। আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে রান্না করা খাবার, চাল, শুকনো খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও বিতরণ করা হচ্ছে।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, রোহিঙ্গাদের জন্য উখিয়ার বালুখালীতে অস্থায়ীভাবে ১৪ হাজার শেড নির্মাণ করা হচ্ছে। কক্সবাজারের ১১টি চেকপোস্ট থেকে গত ৫ দিনে ৫১১৯ জন রোহিঙ্গাকে বালুখালী শরণার্থী কেন্দ্রে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭
টিএইচ/আইএসএ/টিসি