বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পরিচালিত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ আলী। তিনি বাংলানিউজকে জানান, চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সাগরিকা এলাকায় বেশ কয়েকটি চালের গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আহমেদ ট্রেডিং নামে একটি গুদামে ১ মাস ৯ দিন ধরে চাল মজুদ করে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে ৮০ হাজার বস্তায় প্রায় ৪ হাজার টন চাল রয়েছে। চালের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্স।
নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ আলী আমদানি করা চাল ১ মাস মজুদ রাখার বিধান রয়েছে বলে জানালেও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মহাব্যবস্থাপক আবুল কাসেমের দাবি ২০১১ সালের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার অনুযায়ী ২ মাস (৬০ দিন) মজুদ রাখার যাবে।
তিনি জানান, গত ১৪ আগস্ট একটি চালানে ৫ হাজার ৬৪৬ টন চাল আমদানি করা হয়। এরমধ্যে ৪ হাজার ৭৫২ টন চাল বিক্রি হয়ে যায়। কেবল ৮৯৪ টন চাল অবিক্রিত ছিল। কিন্তু বিক্রিত চালগুলো ক্রেতারা না নেওয়ার কারণে গুদামে রয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা আগে জানলে গুদাম থেকে চাল নিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রেতাদের তাগিদ দিতাম।
হঠাৎ করে চালের দাম বেড়ে গেলে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। এরই অংশ হিসেবে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান শুরু করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
গত মঙ্গলবার নগরীর চাক্তাই ও বুধবার সদরঘাটের মাঝিরঘাট এলাকায় চালের গুদামে অভিযান চালানো হয়। চাক্তাইয়ে অভিযানে অতিরিক্ত মূল্যে চাল বিক্রি এবং অতিরিক্ত চাল মজুদের অভিযোগে মো. দিদারুলকে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং মোবাইল কোর্ট কার্যক্রমে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে মো. জাহিদুল ইসলাম শাওন নামে আরেক ব্যক্তিকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মাঝিরঘাটের অভিযানে মাদার শিপিং করপোরেশন নামে এক প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এসবি/আইএসএ/টিসি