বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বন্দরের ৫ নং গেট থেকে তাকে আটক করা হয়। যশোর জেলার ঠাকুরগাঁওয়ের শর্শা এলাকার শহীদুল ইসলামের ছেলে তিনি।
বন্দরের পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্নেল আব্দুল গাফ্ফার বাংলানিউজকে জানান, বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে কার্ড দিয়ে প্রবেশ করে, সে ধরনের কার্ড সম্পূর্ণ জাল করে বন্দরে প্রবেশের চেষ্টা করে ওই ব্যক্তি। বন্দরের ৫ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশের সময় নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা তাকে ধরে ফেলে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রিন্স শিপিং লিমিটেড নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানে সহকারী জেটি সরকার হিসেবে সম্প্রতি কাজ শুরু করেছে মোস্তাকিন। বৃহস্পতিবার বন্দরের ৫ নম্বর গেইট দিয়ে প্রবেশ করার সময় প্রক্সিমিটি কার্ড পাঞ্চ না করে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় গেইটের নিরাপত্তা রক্ষী ওয়াহিদ মুরাদ কার্ড ব্যবহার করে প্রবেশের পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি গায়ে ইউনিফর্ম থাকায় কার্ড ব্যবহারের দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন।
তার কথায় সন্দেহ হওয়ায় কার্ডটি নিয়ে ওয়াহিদ মুরাদ পাঞ্চ করেন। কিন্তু তিনি দেখতে পান সেটি কাজ করছে না। এছাড়া অন্যান্য কার্ডগুলোর সঙ্গে মিলও নেই। পরে তিনি বিষয়টি গেইট পরিদর্শক শাহিনুর আলমকে জানান। শাহিনুর এবং গেইট সার্জেন্ট মো.আলমগীর কার্ড যাচাই বাছাই করে দেখেন সেটি জাল। এরপর তাকে আটক করে বন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়।
এর আগে বুধবার বিকেলে বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ড থেকে চারজনকে আটক করে নিরাপত্তা বিভাগের কর্মীরা। তারা কন্টেইনার থেকে পণ্য চুরির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বৃহস্পতিবার তাদের বন্দর থানায় সোপর্দ করা বলে জানিয়েছেন বন্দরের উপ পরিচাল (নিরাপত্তা) মেজর মো.রেজাউল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
এমইউ/আইএসএ/টিসি