আনোয়ার একই উপজেলার পশ্চিম চাঁন গ্রামের খুইল্লা মিয়া বাড়ির আবদুল গণির ছেলে। তবে নগরীর চান্দগাঁও থানার ওয়ালিউল্লাহ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সে।
র্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমা বাংলানিউজকে জানান, তিন বছর আগে আনোয়ারকে বিয়ে করেন লিজা। ইয়াবা আসক্ত আনোয়ার ছিলেন বেকার। মাদক সেবন করতে স্ত্রীর কাছ থেকে সবসময় টাকা খুঁজতেন আনোয়ার। গত ১৪ সেপ্টেম্বর চান্দগাঁও ওয়ালিউল্লাহ আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসা থেকে রিকশায় করে সাদিয়া সুলতানা লিজা কর্মস্থল পার্লারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। বহদ্দারহাট উড়াল সড়কের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় স্বামী আনোয়ার হোসেন ও এক যুবক তার রিকশা থামান। টাকা নিয়ে তর্কের এক পর্যায়ে এই দুই জন সাদিয়া সুলতানা লিজার মুখে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন সাদিয়া সুলতানা লিজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। পরবর্তীতে এই ঘটনায় সাদিয়ার সুলতানা লিজা বাদী হয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানায় তার স্বামীসহ অজ্ঞাত এক জনের বিরুদ্ধে এসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। র্যাব-৭ এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আনোয়ার’কে ধরতে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে।
তিনি আরও জানান, র্যাবের লে. কমান্ডার আশেকুর রহমানের নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে আনোয়ারা থেকে আটক করা হয়। তাকে চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
এসবি/টিসি