ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

আহত রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করতে খুব কষ্ট হতো…

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
আহত রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করতে খুব কষ্ট হতো… মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা একটি রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবার

চট্টগ্রাম: ‘আমাদের কষ্ট হতো। কারও হাত কাটা, কারও বুকে গুলি, কেউবা পুড়ে গেছে। মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে নাফ নদী হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা এসব রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে (পুশব্যাক) খুব কষ্ট হতো।’

কোস্টগার্ডের পূর্বজোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম যখন মুখে শোকের আবহ রেখে এই কথাগুলো বলছিলেন তখন পুরো সভাজুড়ে কেমন যেন নীরবতা। যেন নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের কষ্ট ছুঁয়েছে সবাইকে।

তবে এরপর যখন ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন তাদের আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এখন তারা শরণার্থী হিসেবে আমাদের দেশে প্রবেশ করছে।

এখন আমরা তাদের আর ঢুকতে বাধা দিচ্ছি না, ফেরতও পাঠাচ্ছি না। তাদের নিরাপদে ক্যাম্পে পৌঁছিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। ’

এই বক্তব্যের পর কষ্ট কিছুটা প্রশমিত হয়ে সভা যেন ফিরে পায় আগের রূপ।

আগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দিকে তাকালে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যেত জানিয়ে কোস্টগার্ডের এই কর্মকর্তা বলেন ‘এখন অবশ্য আমরা সেদিকে তাকালে আর আগুন দেখছি না। ’ছোট ছোট তাবুতে আশ্রয় নিয়েছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘মিয়ানমার নাগরিকদের চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিটি’র সভায় বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় কাজ করা কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চান-রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করার মুহূর্তের সময়কার ভূমিকা সম্পর্কে।

তার সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে কোস্টগার্ডের পূর্বজোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন শহীদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনারের একই প্রশ্নের জবাবে বিজিবির ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল আনিস বলেন, ‘রোহিঙ্গারা সীমান্ত হয়ে প্রবেশ করতেই আমরা তাদের বলে দিই-ওইদিকে (উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প) যান। সেখানে গেলে আপনারা থাকতে পারবেন, চিকিৎসা পাবেন, খাবার পাবেন। তখন তারা সেদিকে চলে যান। ’

‘এখন আমরা তাদের আর বাধা দিচ্ছি না। আমরা তাদের যথেষ্ট হেল্প করছি যাতে নিরাপদে ক্যাম্পে চলে আসতে পারে। ’-বলেন কর্নেল আনিস।

বিজিবির অ্যাডহক রিজিয়ন সদর দপ্তরের (কক্সবাজার) পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল মোহাম্মদ খালিদ বলেন, ‘সীমান্তে এখন ১৬টি প্লাটুনে ৫ হাজার বিজিবি সদস্য দিনরাত কষ্ট করছেন। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। আমরা তাদের নো ম্যানস ল্যান্ডে থাকতে বলি। সেখান থেকে ক্যাম্পের দিকে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।