গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহসীন আলী ও আবদুস সিদ্দিক। মোহসীন আলী বর্তমানে অবসরকালীন ছুটিতে এবং আবদুস সিদ্দিক খুলনায় কর্মরত।
৪০৪ মেট্রিক টন গ্লিসারিন আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক ও মামলার বাদি এইচ এম আখতারুজ্জামান।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, ১৪টি কন্টেইনারে থাকা ৪০৪ মেট্রিক টন ক্রুড গ্লিসারিন নিলামে কেনার পর ৭০ লাখ ৪৭ হাজার ৮০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে ওই পণ্য বন্দর থেকে অবৈধভাবে বের করে নেওয়া হয়।
২০১৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নগরীর হালিশহরের একটি ওয়ার্কশপ থেকে এই গ্লিসারিন উদ্ধার করে কাস্টমস কর্মকর্তারা। এ ঘটনার তদন্ত শেষে গত ৩০ আগস্ট এইচ এম আখতারুজ্জামান ১১ জনকে আসামি করে নগরীর হালিশহর থানায় মামলা দায়ের করেন।
১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় এবং দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ২০১ ও ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়।
ওইদিন (৩০ আগস্ট) বন্দরের সহকারী পরিদর্শক (পরিবহন) মনোয়ার হোসেন, উচ্চমান বহিঃসহকারী নুরুল ইসলাম চৌধুরী ও পুলক কান্তি দাশকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্লিসারিনের ক্রেতা মোশারফ হোসেন মাসুম ও দেলোয়ার হোসেন, নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতা খলিলুর রহমান ও সাইফুল হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহসীন আলী ও মো. আবদুস সিদ্দিক, চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল অফিসার শাহাদাৎ হোসেন মজুমদার, সহকারী পরিবহন পরিদর্শক এম এম সুলতানুল আলম।
১১ জন আসামীর মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের ৫ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে একজন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার বাদি এইচ এম আখতারুজ্জামান। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
এমইউ/টিসি