বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘মিয়ানমার নাগরিকদের চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিটি’র সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, এই ১৭৬ জনের মধ্যে কিছু দালাল।
রোহিঙ্গা শরণার্থীরা চট্টগ্রামের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে ১৮৪১ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে উদ্ধার করে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ১ বিলিয়ন হতে পারে আশঙ্কা করে তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সংখ্যাটা চার লাখের আশেপাশে বললেও ইনফরমাল তথ্য ও বিভিন্ন হিসেবে মনে হয় এই সংখ্যা ১ বিলিয়নের কাছাকাছি।
রোহিঙ্গা শরণার্থী অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তায় অন্যান্য বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও আছেন উল্লেখ করে ডিআইজি বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৬৫৮ জন পুলিশ সদস্য সেখানে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন। তবে এ কারণে আসন্ন দুর্গাপূজায় কোনো সমস্যা হবে না। ’
এছাড়া কয়েকদিন আগের হিসেব দিয়ে ডিআইজি বলেন, কয়েকদিন আগ পর্যন্ত আমাদের কাছে হিসেব ছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮৮ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বালুখালী ক্যাম্পে গেছেন ৩৮ জন। দুজন মারা গেছেন আর দুজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে নগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার. পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সৈয়দা সারোয়ার জাহান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব আলম তালুকদার, বিজিবির ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল আনিস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
টিএইচ/আইএসএ/টিসি