ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রোহিঙ্গা ‘ধরা পড়েছে’ বলা যাবে না, বলতে হবে উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭
রোহিঙ্গা ‘ধরা পড়েছে’ বলা যাবে না, বলতে হবে উদ্ধার বিভাগীয় কমিটির সভায় বক্তারা

চট্টগ্রাম: কক্সবাজার থেকে ছড়িয়ে পড়ার সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের ‘ধরা পড়েছে’ বলা যাবে না বলে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

‘কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়ার বাইরে পাওয়া গেলেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নির্দিষ্ট ক্যাম্পে ফেরত পাঠাতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনোভাবেই রোহিঙ্গা শরণার্থী ধরা পড়েছে এটা বলা যাবে না।

এক্ষেত্রে বলতে হবে ‘উদ্ধার’ শব্দটি। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
পুরো দেশ তাদের পাশে আছে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। ’

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে মিয়ানমার নাগরিকদের চিহ্নিতকরণ সংক্রান্ত বিভাগীয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে নগর পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার. পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) সৈয়দা সারোয়ার জাহান, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব আলম তালুকদার, বিজিবির ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল আনিস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় কমিশনারের বক্তব্যের আগে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান অভিযোগ করে বলেন, সঠিক তথ্য না জেনে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টকশোতে কেউ কেউ বিক্ষিপ্তভাবে বলছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমস্যার বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ।

তিনি পুলিশ কি কি কাজ করেছে তার একটি হিসেবও দেন সভায়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘টকশোতে কিছু মানুষ মনগড়া কথা বলছেন তা ঠিক। তাদের উচিত সঠিক তথ্য জেনেই বলা। সারাবিশ্ব এসব দেখছে। ফলে বিশ্বের কাছে আমাদের এই মানবিকতার বদলে খারাপ বার্তা যেতে পারে। আর সরকার তো দেশের ১৬ কোটি মানুষের সেন্টিমেন্টকে পুঁজি করেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ’

নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার তার বক্তব্যে বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীরা শুধুমাত্র কক্সবাজারে নয়, পাশের বান্দরবানেও ৬০ থেকে ৬২ হাজার শরণার্থী অবস্থান নিয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সরকারের ঘোষিত ২ হাজার একর জায়গা চিহ্নিত করে সেখানেই তাদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ তাদের চেহারা আর ভাষা স্থানীয়দের সঙ্গে প্রায়ই মিলে যায়। ফলে তারা স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ’

‘পাশাপাশি শিবির ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের মাধ্যমে জায়গা চিহ্নিত করে পুরো এলাকা নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। ’-বলেন পুলিশ কমিশনার

এছাড়া অন্যান্য বক্তাদের বক্তব্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, কোনো শিশু যাতে বিনা চিকিৎসায় মারা না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখার কথা উঠে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭

টিএইচ/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।