মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নিজ ঘরে রশি পেঁচানো অবস্থায় বিপুলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ এটি আত্মহত্যা বলে নিশ্চিত হয়েছে।
বিপুল একই এলাকার প্রফুল্ল বড়ুয়ার ছেলে। তিনি গত দু মাস আগে বড়লিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে লিখিতভাবে কোনো অভিযোগ না দেওয়ায় একইদিন বিকেলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই বিপুলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ব্যবসায়িকভাবে লোকসানে পড়ায় কিছুটা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বিপুল। এ থেকেই তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে স্থানীয়দের কেউ কেউ আবার বলছেন, প্রেমঘটিত কারনে বিপুল আত্মহত্যা করেছেন।
পরিবার সূত্র জানায়, প্রতিদিনের মতো সোমবার রাতের খাবার শেষে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান বিপুল। পরদিন সকালে দীর্ঘসময়ও ঘুম থেকে না ওঠলে ডাকতে যান পরিবারের এক সদস্য। এসময় দরজার ছিদ্র দিয়ে দেখা যায় গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় তার দেহ ঝুলে আছে। পরে স্থানীয়রা এসে মরদেহটি নামান। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মরদেহ তাদের নিজেদের হেফাজতে নেন।
পটিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম মজুমদার জানান, বিপুল আত্মহত্যা করেছে বলে তারা নিশ্চিত হয়েছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়েও এখনও তারা নিশ্চিত হননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
টিএইচ/টিসি