ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাঁশখালীর এমপির বাধার মুখে মাহমুদুলের সংবর্ধনা স্থগিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
বাঁশখালীর এমপির বাধার মুখে মাহমুদুলের সংবর্ধনা স্থগিত সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর অনুসারীদের বাধার মুখে স্থগিত করা হয়েছে জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর সংবর্ধনা সভা। পরিবহন শ্রমিকদের ব্যানারে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বৈলছড়ি নজমুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা হওয়ার কথা ছিল।

এতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধান অতিথি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুসহ সাতজন সংসদ সদস্যকে বিশেষ অতিথি করা হয়েছিল।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন করে সভা স্থগিতের বিষয়টি জানান মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের কিছু নেতাকর্মী আগে ও পেছনে পুলিশ পাহারায় সভাস্থলে পেশিশক্তির মহড়া প্রদর্শন করে। তারা বলেন, এরশাদ স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করা হবে।

এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে টেলিফোনে সভার তারিখ পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। বিষয়টি এরশাদ সাহেবকে জানালে তিনি হতবাক হয়ে যান এবং প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে সামগ্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সাপেক্ষে নতুন তারিখ দেওয়ার পরামর্শ দেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদুল বলেন, বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের চারটি গ্রুপ আছে। এর মধ্যে এমপি গ্রুপ এরশাদকে প্রতিহত করতে মাঠে নেমেছে। তারা এমপির নামে স্লোগান দিয়েছেন। এমপি দলের চেন অব কমান্ড মানছেন না।

সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়নি। তাই নির্বাচনের বিষয়ে এখনি কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন থানা জাপা সভাপতি আমিনুর রশীদ চৌধুরী, শ্রমিক নেতা মো. বদিউল আলম ও মোহাম্মদ আনছার।

মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি এখনো ঢাকায় অবস্থান করছি। ফেসবুকে দেখেছি বাঁশখালীর মানুষ ওই সংবর্ধনা সভা আয়োজনে বাধা সৃষ্টি করছে। কারণ অতীতে তিনি ক্ষমতাসীন দলের নেতা থাকার পরও এলাকার উন্নয়নে কোনো কাজ করেননি। সভা আয়োজনে বাধা দেওয়ার সঙ্গে আমার বা দলের লোকজনের কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলো আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অপ্রপ্রচার চালাচ্ছেন। ’ 

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, আপডেট ১৭১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭

এআর/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।