এতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ প্রধান অতিথি এবং পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সংসদ সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুসহ সাতজন সংসদ সদস্যকে বিশেষ অতিথি করা হয়েছিল।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটায় সংবাদ সম্মেলন করে সভা স্থগিতের বিষয়টি জানান মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী।
তিনি বলেন, রোববার বিকেলে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের কিছু নেতাকর্মী আগে ও পেছনে পুলিশ পাহারায় সভাস্থলে পেশিশক্তির মহড়া প্রদর্শন করে। তারা বলেন, এরশাদ স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করা হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদুল বলেন, বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের চারটি গ্রুপ আছে। এর মধ্যে এমপি গ্রুপ এরশাদকে প্রতিহত করতে মাঠে নেমেছে। তারা এমপির নামে স্লোগান দিয়েছেন। এমপি দলের চেন অব কমান্ড মানছেন না।
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়নি। তাই নির্বাচনের বিষয়ে এখনি কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন থানা জাপা সভাপতি আমিনুর রশীদ চৌধুরী, শ্রমিক নেতা মো. বদিউল আলম ও মোহাম্মদ আনছার।
মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি এখনো ঢাকায় অবস্থান করছি। ফেসবুকে দেখেছি বাঁশখালীর মানুষ ওই সংবর্ধনা সভা আয়োজনে বাধা সৃষ্টি করছে। কারণ অতীতে তিনি ক্ষমতাসীন দলের নেতা থাকার পরও এলাকার উন্নয়নে কোনো কাজ করেননি। সভা আয়োজনে বাধা দেওয়ার সঙ্গে আমার বা দলের লোকজনের কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলো আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অপ্রপ্রচার চালাচ্ছেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, আপডেট ১৭১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
এআর/আইএসএ/টিসি