অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া। গেস্ট অব অনার থাকবেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
চুয়েট দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।
২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিআইটি, চট্টগ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চুয়েটের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিবছর দিবসটি নির্দিষ্ট দিনে উদযাপিত হলেও এবার পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি থাকায় ১ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে এবার ১৯ সেপ্টেম্বর চুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
একনজরে চুয়েট
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে স্থাপিত এ প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে ১৯৬৮ সাল থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটির প্রতিষ্ঠাকালে উদ্দেশ্য ছিল দেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তির শিক্ষাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়া। তখন কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির অধীনে পরিচালিত হতো। প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ভার ন্যস্ত ছিল মন্ত্রণালয়ের হাতে এবং স্থাপনা নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে। কলেজটির সার্বিক পরিচালনা ত্রিপক্ষীয় কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকায় যথাযথ সমন্বয়ের অভাবে ও বিভিন্ন জটিল সমস্যার আবর্তে পড়ে প্রতিষ্ঠানটির মুখ্য উদ্দেশ্য অর্জন ব্যাহত হয়। নানাবিধ জটিল সমস্যাবলির সমাধানের উদ্দেশ্যে সরকার ১৯৮৬ সালে দেশের চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে স্বায়ত্তশাসিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (বিআইটি) রূপান্তরিত করে। সীমিত পরিসরে স্বায়ত্তশাসন লাভের পরেও বিভিন্ন প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বিআইটি, চট্টগ্রাম নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি সংক্রান্ত অসুবিধা, গবেষণাগারে উন্নতমানের যন্ত্রপাতির অপ্রতুলতা গবেষণা কার্যক্রমের জন্য বাধা হয়ে পড়েছিল। অবশেষে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিআইটি, চট্টগ্রাম ১ সেপ্টেম্বর ২০০৩ থেকে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) নামে যাত্রা শুরু করে।
চট্টগ্রাম শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক সংলগ্ন ১৭১ একর জমির ওপর মনোমুগ্ধকর নৈসর্গিক পরিবেশে চুয়েট ক্যাম্পাস অবস্থিত। বর্তমানে চুয়েটে ৫টি অনুষদ, ১৫টি বিভাগ, ৩টি ইনস্টিটিউট, ৩টি গবেষণা সেন্টার এবং ১টি ছাত্রীনিবাসসহ ৫টি আবাসিক হল রয়েছে। এখানকার শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজার। চুয়েটের অনুষদগুলো হলো-পুরকৌশল অনুষদ, যন্ত্রকৌশল অনুষদ, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদ, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ এবং প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ। এখানে প্রতিবছর স্নাতক কোর্সে ৭০০ আসনের বিপরীতে চারটি অনুষদের অধীনে ১০টি বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগগুলো হচ্ছে- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিকস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, সিভিল অ্যান্ড ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকাট্রনিকস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার, আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
এআর/আইএসএ/টিসি