সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নির্দেশে মেডিকেল টিমটি উখিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়।
চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর নেতৃত্বে এ টিমে আছেন ছয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, প্যারামেডিকসহ ১২ সদস্য।
ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী সকাল ১০টায় বাংলানিউজকে জানান, মানবিক সহায়তা হিসেবে চসিকের মেডিকেল টিমকে কুতুপালং এলাকার রোহিঙ্গাদের চিকিৎসাসেবা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। আমরা সব বয়সী রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধপত্র দেব।
সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর চার লক্ষাধিক রোহিঙ্গা জীবন হাতে নিয়ে বাংলাদেশের উখিয়া, টেকনাফ, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছে। জাতিসংঘ বলছে ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে শরণার্থীর সংখ্যা। রোহিঙ্গা শিশুরা হাম-রুবেলা, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি-কাশিসহ নানা রোগব্যধিতে ভুগছে। স্বাস্থ্য বিভাগ শিশুদের হাম-রুবেলাসহ জরুরি কিছু টিকা নিশ্চিত করেছে। অনেক নারী ইতিমধ্যে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। অনেকে আছেন অন্তঃসত্ত্বা।
দুই হাজার রোহিঙ্গাকে স্বাস্থ্যসেবা
সন্ধ্যায় চসিক সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে পৌঁছে চসিকের মেডিকেল টিম দুই ভাগ হয়ে ২ হাজার রোহিঙ্গাকে চিকিৎসাসহ ওষুধপত্র দিয়েছেন। চিকিৎসাসেবা চলাকালে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ চসিক পরিচালিত স্বাস্থ্যক্যাম্প পরিদর্শন করেন। কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন চসিকের মেডিকেল টিমকে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, আপডেট ১৮৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭
এআর/টিসি