ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দুই নম্বর গেট থেকে বহদ্দারহাটের হকারদের তালিকা তৈরি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
দুই নম্বর গেট থেকে বহদ্দারহাটের হকারদের তালিকা তৈরি হকাররা দখল ছেড়ে দেওয়ার পর নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাত

চট্টগ্রাম: নগরীর নিউমার্কেট, স্টেশন রোড, শহীদ সোহরাওয়ার্দী রোড, জুবিলি রোডসহ কোতোয়ালি থানার হকারদের তালিকা তৈরি ও উচ্ছেদের পর এবার দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট এলাকার হকারদের তালিকা তৈরি করছেন সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটরা।  

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) তিনটি স্পটে তালিকা তৈরি করা হয়।

সিটি ম্যাজিস্ট্রেট সনজীদা শরমিন বাংলানিউজকে জানান, ঈদুল আজহার ছুটির পর থেকে কোতোয়ালি থানার প্রায় সাড়ে তিন হাজার হকারের তালিকা তৈরি ও উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

তাদের জন্য পরিচয়পত্র তৈরি ও একই রঙের ছাতা কেনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো নগরীর হকারদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনার লক্ষ্যে তালিকা তৈরির কাজটি শেষ করতে চাই আমরা।

তিনটি স্পটে কয়েকশ হকারের নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিনটি টিম তিন জায়গায় কাজ করেছে। বহদ্দারহাট এলাকায় প্রায় ১০০ হকার পেয়েছি।

তিনি জানান, সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) জিইসি মোড়, মঙ্গলবার অক্সিজেন ও বায়েজিদ, বুধবার কাজীর দেউড়ি, চকবাজার ও মেডিকেল কলেজ, বৃহস্পতিবার অলংকার মোড় ও কর্নেল হাট, ২৪ সেপ্টেম্বর দেওয়ানহাট, বাদামতল ও আগ্রাবাদ, ২৫ সেপ্টেম্বর পতেঙ্গা, কাটগড় ও স্টিল মিল, ২৬ সেপ্টেম্বর ইপিজেড, ২৭ সেপ্টেম্বর বন্দরটিলা, মাইলের মাথা ও নিমতলা, ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে শাহ আমানত নতুন ব্রিজ এলাকার হকারদের তালিকা তৈরি করা হবে।

মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নগরবাসীর নির্বিঘ্নে চলাচলের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে হকারদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনার জন্য মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন হকার্স সংগঠনের দায়িত্বশীলদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক করে হকারদের শৃঙ্খলার মধ্যে আনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছেন। মেয়রের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে হকাররা ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট স্থানে ও নির্দিষ্ট সময়ে (বিকাল পাঁচটা থেকে রাত ১০টা) চসিক নির্দেশিত পন্থায় পথচারীদের অসুবিধা সৃষ্টি না করে ব্যবসা পরিচালনার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে হকাররা সপ্তাহের শনি-বুধবার পর্যন্ত বিকাল পাঁচটা থেকে রাত ১০টা, বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা থেকে রাত ১০টা এবং শুক্রবার ও সরকারি বন্ধে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট স্থানে মাটিতে ত্রিপল বিছিয়ে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছেন। দরিদ্র হকাররা যাতে তাদের ক্ষুদ্র ব্যবসা পরিচালনা করে নিজ জীবন যাপন করতে পারেন এবং নগরীর স্বল্প আয়ের মানুষ যাতে নিজ ক্রয় ক্ষমতানুযায়ী জীবনধারণের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারেন সে জন্য মানবিক বিবেচনায় হকারদের শৃঙ্খলার মধ্যে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিচ্ছেন মেয়র।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, হকারদের পরিচয়পত্রের নকশার কাজ শেষ। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নগরীর হকারদের তালিকা হয়ে গেলে ছাপানো এবং বিলির কাজ শুরু হবে। একই সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন ছাতা সংগ্রহের জন্য আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে দখলমুক্ত ফুটপাতগুলোর ডিজিটাল জরিপ, দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজানো, গার্ডেনিং, বিউটিফিকেশন, মার্কিং, নালা পরিষ্কার ও নির্মাণ, আলোকায়ন ইত্যাদির পরিকল্পনাও চলছে।

স্বেচ্ছাশ্রমে ফুটপাত সাজানোর পরিকল্পনা স্থপতির

বাসভবনে বসেই শতাধিক সই করলেন মেয়র নাছির    

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।