শনিবার দিনগত রাত ১০টার দিকে নগরীর হিলভিউ আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের ৫ নম্বর সড়ক থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের তাদের সঙ্গে থাকা দুটি এলজি, চার রাউন্ড কার্তুজ ও ছয়টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া টেম্পুর সহযোগীরা হলেন, জাহেদ হোসেন মুন্না, রবিউল প্রকাশ মানিক, ইলিয়াছ কাঞ্চন, মো. সোহেল ও মো. তৌহিদ। তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এদের মধ্যে কথায় কথায় গুলি করতে অভ্যস্ত টেম্পুর বিরুদ্ধে নগরীর চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, বায়েজিদ বোস্তামী এবং জেলার হাটাহাজারি থানায় হওয়া ২৮টি মামলার তালিকা পেয়েছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা থাকতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। এ নিয়ে কমপক্ষে ১০ বার পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে এলজি, গুলি ও ধারালো অস্ত্রসহ আমরা টেম্পু তার সহযোগীদের গ্রেফতার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। ’
টেম্পুর প্রসঙ্গ টেনে ওয়ালী উদ্দিন আকবর বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে টেম্পুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হওয়া ২৮টি মামলার সন্ধান পেয়েছি। আরও কয়েকটি মামলা থাকতে পারে। আমার মনে হয় না টেম্পু ছাড়া অন্য কোনো ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে নগরীতে এতো মামলা রয়েছে। ’
টেম্পু খুবই ভয়ংকর ছিনতাইকারী মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘টেম্পু একদিনে সৃষ্টি হয়নি। পাড়ার মাস্তান থেকে চাঁদাবাজী, পরে ছিনতাইকারী। ধীরে ধীরে সে এই পর্যায়ে এসেছে। কথায় কথায় গুলি করতে পারে সে। মোটরসাইকেল ছিনতাইসহ সে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত এই টেম্পু। ’
পুলিশ সূত্র জানায়, টেম্পু চালক বাবার সঙ্গে একই টেম্পুতে কাজ করতো ইসমাইল হোসেন। এ থেকেই তার নাম হয়ে যায় টেম্পু। তারা চার ভাইই ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে বড় দুই ভাই খোকন ও ইদ্রিস কারাগারে রয়েছেন। ছোট ভাই সোহাগ পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
টিএইচ/টিসি