ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দেশ পুনর্গঠন ও বন্দর সচলে রাশিয়ার অবদান চিরস্মরণীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
দেশ পুনর্গঠন ও বন্দর সচলে রাশিয়ার অবদান চিরস্মরণীয় চট্টগ্রামস্থ রাশিয়ার কনস্যুল জেনারেল ওলেগ পি বয়কোকে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

চট্টগ্রাম: ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পুর্নগঠন ও চট্টগ্রাম বন্দর সচল করার ক্ষেত্রে রাশিয়ার অবদান বাংলাদেশ চিরদিন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণে রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্দরকিল্লার নজির আহমদ সড়কে মেয়রের বাসভবনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) আয়োজিত চট্টগ্রামস্থ রাশিয়ার কনস্যুল জেনারেল ওলেগ পি বয়কোর বিদায় সংবর্ধনায় মেয়র এ মন্তব্য করেন।  

মেয়র বলেন, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু রাশিয়া।

স্বাধীনতাযুদ্ধ থেকে রাশিয়া বাংলাদেশের মানুষের কাছে চিরস্মরণীয় রাষ্ট্র। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা-চিকিৎসাসহ নানা বিষয়ে পারস্পরিক গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান।
এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তিসহ নানা বিষয়ে রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে রাশিয়ার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। রেডিমেন্ট গার্মেন্টস্ রাশিয়ার বাজারে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে রাশিয়ায় অসংখ্য শিক্ষার্থী লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে।

মেয়র বলেন, দীর্ঘসময় চট্টগ্রামে কূটনৈতিকের দায়িত্ব পালনকালীন ওলেগ পি বয়কোর সাথে চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। যা কোনোদিন ভোলার নয়।

অবসরজনিত কারণে বাংলাদেশ ছেড়ে গেলেও ওলেগ পি বয়কো বাংলাদেশের মানুষের কথা স্মরণ করবেন বলে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ওলেগ পি বয়কো জানান, ১৮ বছর থেকে দু’বছর বাধ্যতামূলক সামরিক বাহিনীতে থাকাকালীন তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে পারেন।

তিনি চট্টগ্রামের মেয়রকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দায়িত্ব পালন করে মেয়র ইতোমধ্যে নগরবাসীর নজর কেড়েছেন।

অসুস্থতা সত্ত্বেও নিজ বাসভবনে সংবর্ধনা দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এতেই রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের গভীরতা প্রমাণিত হয়।

রাশিয়ার কনস্যুল জেনারেল জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, কূটনৈতিক জীবনের দীর্ঘ সময়ে ৩৭ বছরের চাকরিজীবনে ৬০টি দেশ ঘুরে দেখেছেন। বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আসার আগে কানাডায় দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশে থেকে দায়িত্ব পালনই তার জীবনে স্মরণীয় বলে অবহিত করেন।

প্রসঙ্গক্রমে এ রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি পুতিনের অবদান সম্পর্কে তিনি জানতেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে ২৫ বছর আগে রাশিয়া বিভক্ত হলেও তার শক্তি বিন্দু পরিমাণ কমেনি। পৃথিবীর জটিল পরিস্থিতিতে রাশিয়া ধৈর্যের সাথে পর্যবেক্ষণ করে। কোনো রাষ্ট্রের ওপর রাশিয়ান নীতি চাপিয়ে দেওয়া হয় না বা জবর দখল করার নীতিতে বিশ্বাস করে না। রাশিয়া পৃথিবীর বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রসঙ্গে বলেন, এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের এ প্ল্যান্টটি চালু হবে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে রাশিয়ান দূতাবাসের কর্মকর্তা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থপতি আশিক ইমরান, চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নাজিয়া শিরিন, মেয়রের একান্ত সচিব মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট সনজিদা শরমিন,  স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানার ফেরদৌস, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মন্নান সিদ্দিকী যিশু, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুর রহিমসহ বিভাগীয় প্রধানরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭

এআর/টিসি

                                 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।