ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রোহিঙ্গা গণহত্যা মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
রোহিঙ্গা গণহত্যা মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার সামিল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ১৪ দলের নেতারা

চট্টগ্রাম: ১৪দলের মূখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাছিম বলেন, ‘মিয়ানমার সরকার বিভিন্ন অজুহাত তুলে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা চালাচ্ছে। এই গণহত্যা মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা সামিল। মিয়ানমার বাহিনীর নানান নির্যাতনের শিকার হয়ে আজ লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে। শেখ হাসিনা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে আশ্রয় দিয়ে মানবতার মা হিসেবে বিশ্বের দরবারে প্রসংশিত হয়েছেন। আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সরকারের পক্ষ থেকে সবকুটু সহযোগিতা করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যাতে কোন প্রকার হয়রানীর শিকার না হয় এ ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। ১৬ কোটি মানুষের ভীড়ে এতো রোহিঙ্গা রাখার ক্ষমতা আমাদের নেই।

তাই জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে । অবশ্যই এসব রোহিঙ্গাদের স্ব-সম্মানে মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে।

শনিবার দুপুরে উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ত্রাণ বিতরণ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে ১৪দলের প্রতিনিধিদল কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

মতবিনিময়কালে তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা শিশুদের রোগব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে প্রতিষেধক ঠিকা হিসেবে ১লাখ ২০ হাজার হাম রুবেলা টিকা, ৪০হাজার পোলিও টিকা, ৩৮হাজার ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিতরণ করা হয়েছে।

এসময় তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের নির্যাতনের চিত্র দেশি-বিদেশী গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হওয়ার মিয়ানমার সরকার আজ সমালোচনার মুখে পড়েছে। তিনি এ জন্য গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাকে পুঁজি করে একটি মহল দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাই দেশবাসিকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে কক্সবাজারবাসীকে দলমত নির্বিশেষে রোহিঙ্গাদের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

১৪ দলের নেতা বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী, বাংলাদেশ ওয়ার্কাসপার্টির সভাপতি রাশেদ খাঁন মেনন বলেন, গত ২৪ আগষ্ট থেকে  সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে আমাদের বর্ডার গাড (বিবিজি’র) সদস্যরা অত্যান্ত সাহসিকার পরিচয় দিয়ে রাত-দিন পাহারা দিয়ে আসছে। এজন্য সরকারের পক্ষ বিজিবি সহ সকল সীমান্তে নিয়োজিত আইশৃংখলাবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি এসময় মিয়ানমার সরকারকে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদন বাস্তবায়নের জোর দাবী জানান।

পৌনে ৩টায় প্রতিনিধিদল কুতুপালং শরনার্থী শিবিরের আশে-পাশে ঘুরে দেখেন এবং রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে নির্যাতনের বর্ণনা শুনেন।

এসময় অন্যাদের মধ্যে প্রতিনিধি দলের সাথে ছিলেন, সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও সাম্যবাদী দলের সভাপতি দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, কক্সবাজার-৪ আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদি, কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম, জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাড. আবুল কালাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন, অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী প্রমূখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭

টিএইচ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad