ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান-সংগঠনের ব্যানারে ত্রাণ বিতরণ নিষিদ্ধ হলেও আগেরদিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বিএনপি নেতারা।
এরই প্রেক্ষিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তা আটকে দেওয়া হয়।
বিএনপির ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ডা. জাহিদ হোসেন, বিভাগীয় সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় নেতা লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী।
সকাল থেকে দফায় দফায় পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিএনপি নেতারা। বিকেল পর্যন্ত অনুমতি না পেয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, আমরা ত্রাণ দিতে এসেছি। নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। রাজনীতি করতে আসিনি। আওয়ামী লীগের উচিত ছিল আমাদের স্বাগত জানানো। কিন্তু তারা তা না করে উল্টো আমাদের ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। তারপরও আমরা এসেছি। ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ বিতরণের জন্য একটি নিয়ম করা হয়েছে। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান-সংগঠন তাদের নিজস্ব ব্যানারে কোন আর্থিক সাহায্য বা ত্রাণ বিতরণ করতে পারবেন না। ত্রাণ দিতে চাইলে জেলা প্রশাসনের ‘দুর্যোগ ও ত্রাণ শাখায়’ আগ্রহী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ত্রাণসামগ্রী জমা দিতে হবে।
জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এই ত্রাণ রোহিঙ্গাদের মাঝে বিতরণ করা হবে। তাই বিএনপির ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো আটকে দেওয়া হয়েছে। তাদের আমরা ত্রাণসামগ্রী জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিতে বলেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭
আইএসএ/টিসি