ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ সময় বেঁধে সম্ভব নয়’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
‘খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ সময় বেঁধে সম্ভব নয়’ নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: নগরীর ৫৭টি খালের ওপর গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে উচ্ছেদ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল মেয়রের আন্দরকিল্লার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেন মেয়র।

নগরীর প্রাকৃতিক খালগুলো থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা ও নিয়মিত মনিটরিংয়ের জন্য গঠিত টাস্কফোর্স, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জারিকৃত পরিপত্রের নির্দেশনা যথাযথ অনুসরণপূর্বক চসিকের সঙ্গে সেবাদানকারী সংস্থার সমন্বয় এবং ভূমি ও ইমারতের বার্ষিক মূল্য নির্ধারত বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

মেয়র বলেন, অবৈধ দখল উচ্ছেদ সময় বেঁধে দিয়ে করা সম্ভব নয়। আমার আন্তরিকতার ঘাটতি নেই।

যত দ্রুত সম্ভব আমি করতে চাই। অনেক জায়গায় খালপাড়ে উচ্ছেদ করতে যাব সেই পরিবেশ নেই। পায়ে হেঁটে যাওয়ার অবস্থাও নেই। ইক্যুইপমেন্ট নেওয়া যাবে না। এ চ্যালেঞ্জগুলো আছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে যে খালটি আগে ধরলে নগরবাসী উপকৃত হবে সেটি আগে উচ্ছেদ করা হবে। চাক্তাই খাল ও মহেশখালকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।   

তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি আছে চসিকে। অন্য প্রতিষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি নেই। তাই সিটি করপোরেশনই নেতৃত্ব দেবে। আইনের ঊর্ধ্বে সিটি করপোরেশন নয়। আমি এটা কথা দিতে পারি, নালা-খালের ওপর চসিকের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আমার ওপর আস্থা রাখতে পারেন।

মেয়র বলেন, সংকীর্ণতার সুযোগ নেই। আমরা কেউ স্থায়ী নই। শহরটা স্থায়ী। আমরা চাইছি একটি পরিকল্পিত সর্বসাধারণের বসবাসযোগ্য নগর উপহার দিতে।

তিনি বলেন, চসিকের অবকাঠামোয় বিভিন্ন সরকারি সংস্থা নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে চসিককে অবগত না করে অসমন্বিতভাবে উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পাদন করছে। সমন্বয়ন না থাকায় চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমে জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগসহ নানান সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। সংস্থাগুলো চসিককে প্রকল্প বিষয়ে আগে অবগত না করানোর ফলে অনেক সময় উন্নয়ন কার্যক্রমে ওভার লেপিং হচ্ছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামকে জনদুর্ভোগ ও জলাবদ্ধতামুক্ত করতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থা কর্তৃক সিটি করপোরেশনের অবকাঠামোয় নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে চসিককে অবহিত করে ছাড়পত্র গ্রহণ একান্ত আবশ্যক বলে মনে করছি।

সমন্বয়হীনতা উপলব্ধি করেছেন জানিয়ে মেয়র বলেন, আমি উপলব্ধি করেছি। আমার আগে যেসব শ্রদ্ধেয় মেয়র মহোদয়রা ছিলেন উনারাও উপলব্ধি করেছেন। বারে বারে উচ্চারণ করেছেন। ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ, অন্য বিভাগীয় শহরের মেয়ররা উপলব্ধি করেছেন।

আজই (সোমবার) টাস্কফোর্সের প্রথম সভা করবেন জানিয়ে মেয়র বলেন, মেয়র হিসেবে আমি পরিচালিত হই সিটি করপোরেশন অ্যাক্ট ২০০৯ অনুযায়ী। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) যে মেগাপ্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেয়েছে তা বাস্তবায়নে সমন্বয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যখন যে সিদ্ধান্ত-নির্দেশনা আমাকে দেবে তা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করব। এখন বলেছে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে দিতে।    

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭

এআর/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।