ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবি শিক্ষককে পরীক্ষা কমিটি থেকে অপসারণ নিয়ে রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
চবি শিক্ষককে পরীক্ষা কমিটি থেকে অপসারণ নিয়ে রুল

ঢাকা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিনকে (রাহমান নাসির উদ্দিন) বিএসএস সম্মান ও এমএসএস পরীক্ষা  কমিটি-২০১৫ থেকে অপসারণ করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের  অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

চার সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।
 
তিনি জানান, ওই বিভাগের ২০১৫ সালের এমএসএস পরীক্ষা গ্রহণে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে কমিটির সদস্যরা হলেন- বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলাউদ্দিন ও সহকারী অধ্যাপক মোক্তার আহমেদ চৌধুরী।
 
ওই কমিটি ৫০ নম্বরে এমএসএস টার্মিনাল পরীক্ষা নেওয়ার পর ২৫ নম্বর ধরে ফলাফল প্রকাশ করতে চান। এ বিষয়ে মতামত চেয়ে গত ২০ এপ্রিল  নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন আলাউদ্দিন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে  মতামত চান। এর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর ফের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে মতামত (বিস্তারিত) চান। কিন্তু এ চিঠির কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
 
এদিকে সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর এ এফ এম ইমাম আলি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিনকে চিঠি দেন। যাতে ৩১ মে’র মধ্যে এ টারমিনাল পরীক্ষার  নম্বর ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তার মতামত জানতে চান। নাসির উদ্দিন লিখিতভাবে ওই সময়ের মধ্যে মতামত দেন।
 
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া আরও জানান, এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নাসির উদ্দিনকে চিঠি দেন। যেখানে বলা হয়, নিয়ম বহির্ভূত কার্যকলাপের অভিযোগে ১০ জুনের সিন্ডিকেট সভায় তাকে সতর্ক করে পরীক্ষা কমিটি থেকে অপসারণ করা হয়।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে বলা হয়, বিভাগীয় চেয়ারপারসন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে যে চিঠি দেন, তার আলোকে এ এফ এম ইমাম আলির নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
 
সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নাসির উদ্দিন হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের শুনানি নিয়ে আদালত ১০ জুনের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
 
জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, কোনো ধরনের কারণ দর্শাও (শো’কজ) নোটিশ কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়াই অপসারণ আইন বর্হিভূত। এছাড়া দোষী হলে পুরো কমিটির হবে, একা নাসির উদ্দিন শাস্তি পাবেন কেনো?
 
তিনি বলেন, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের প্রায় সব বিভাগই টারমিনাল পরীক্ষা ৫০ থেকে ১০০ নম্বরের মধ্যে নিয়ে ২৫ নম্বরে রুপান্তরিত করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।