নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন রেজু আমতলি ও তুমব্র সীমান্তে শনিবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাত ও রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা নারী ও তিনজন আহত হয়েছিলেন।
বান্দরবানের ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, শনিবার রাত ১১টার দিকে রেজু আমতলি সীমান্তের জিরো লাইনের কাছে স্থলমাইন বিস্ফোরণ হলে তিন রোহিঙ্গা নিহত ও একজন আহত হন। সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
এ দুই জনপ্রতিনিধি আরও জানান, রোববার ভোরে তুমব্র সীমান্তের বাংলাদেশ-মিয়ানমার ৩৭-৩৮নং পিলারের মধ্যস্থানে স্থলমাইন বিস্ফোরণের অন্য ঘটনাটি ঘটে।
এসময় ঘুমধুমের বাইশ ফাঁড়ি এলাকার বাসিন্দা আবুল খায়েরের ছেলে মো. হাসান (৩২) আহত হন। তারা জানান, ভোরে ঘুমধুমের তুমব্র সীমান্ত দিয়ে হাসান গরু আনতে গেলে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে তার একটি পা উপড়ে গেছে এবং চোখেও আঘাত লেগেছে।
এসময় আতা উল্লাহ নামের অপর এক রোহিঙ্গা যুবকও আহত হন। পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করেন। বর্তমানে তারা উখিয়া কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মকর্তরা স্থলমাইন বিস্ফোরণে হতাহতের কথা স্বীকার করেছেন। তবে তারা বিস্তারিত কিছু জানাননি।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
বিএসকে/