ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাসভবনে বসেই শতাধিক সই করলেন মেয়র নাছির

আল রাহমান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৭
বাসভবনে বসেই শতাধিক সই করলেন মেয়র নাছির বাসভবনে বসেই শতাধিক সই করলেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

চট্টগ্রাম: ঈদের আগের দিন পা পিছলে পড়ে কোমরে আঘাত পাওয়া মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাসভবনে বসেই দাপ্তরিক সব কাজ সারছেন এখন। বুধবার (০৬ সেপ্টেম্বর) এক দিনেই সই করেছেন শতাধিক।

অবশ্য আন্দরকিল্লা নগর ভবনের খুব কাছেই মেয়রের পৈতৃক বাসভবন। আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের পশ্চিম পাশেই বাড়িটি।

কয়েকশ গজ দূরত্বের মধ্যে হওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কর্মকর্তারাও প্রয়োজনে দেখা করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা নিতে পারছেন মেয়রের কাছ থেকে।

এ প্রসঙ্গে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মেয়র মহোদয়কে তিন সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন চিকিৎসকেরা।

তার নির্দেশেই দাপ্তরিক নথিপত্রগুলো উনার বাসভবনে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে বসেই তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা, অনুমোদন, পরামর্শ দিচ্ছেন। কর্মকর্তাদের মধ্যে কারও সঙ্গে আলাপ করার ইচ্ছে পোষণ করলে তাকে পাঠানো হচ্ছে। নগর ভবন থেকে হাঁটা দূরত্বে হওয়ায় এক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না।

বাসভবনে বসে দাপ্তরিক কাজ করা প্রসঙ্গে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, আমি চেষ্টা করছি যাতে জরুরি কাজের পাশাপাশি দৈনন্দিন কাজগুলো জমে না থাকে। সুস্থ থাকার সময় যে কাজগুলো করেছি এখনো তাই করছি। আগে অফিসে বসে করতাম, এখন বাসায় বসে করছি। তবে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াঙ্গনে যেভাবে ছুটে যেতাম তা পারছি না। সবচেয়ে বড় আফসোস বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচটি টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে হচ্ছে।

মেয়র বলেন, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ টিম আসার আগে আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ক্ষতবিক্ষত হওয়া সড়ক মেরামত করা সেটি আমরা করেছি। আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কোরবানির বর্জ্য নির্ধারিত সময়ে অপসারণ। সেটিও আমরা যথাযথভাবে করেছি। এখন যে কাজটিকে গুরুত্ব দিচ্ছি সেটি হচ্ছে কোতোয়ালি থানাধীন নিউমার্কেট, আমতল, স্টেশন রোড, লালদীঘির পাড়, কেসিদে রোড এলাকা থেকে হকারদের শৃঙ্খলায় আনা। হকার নেতাদের কমিটমেন্ট ও আমাদের লক্ষ্য অনুযায়ী ঈদুল আজহার ছুটির পর থেকে এ কাজটি আমরা সফলতার সঙ্গে শেষ করছি। বিকেল পাঁচটায় হকাররা বসছেন ফুটপাতের একাংশে। আমরা তাদের তালিকা তৈরি করে পরিচয়পত্র দেব। পর্যায়ক্রমে পুরো নগরীর হকারদের শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসব।

আশাবাদের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের লুপের যে কাজ চলছে তার পর থেকে একেবারে কালুরঘাট পর্যন্ত সড়কটি ভালোভাবে মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছি। একনেকে আমাদের একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেটি অনুমোদিত হলে নগরীর প্রধান প্রধান সব সড়ক নতুনভাবে কার্পেটিং করা হবে।

মেয়র যে শুধু বাসায় বসে দাপ্তরিক কাজ সারছেন তা নয়, ‍তাকে দেখতে আসা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গেও কুশল বিনিময় করছেন। জরুরি আলাপ সারছেন। লুঙ্গি পরে কোমর ব্যথার কষ্ট চেপে রেখে হাসিমুখে কথা বলছেন অতিথি-শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে।     

পা পিছলে পড়ে কোমরে আঘাত মেয়রের       

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৭

এআর/টিসি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।