বাঁশখালীতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে এভাবেই অনিয়ম দুনীর্তির অভিযোগ তুলে ধরেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি তাপস কুমার নন্দী।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই গণশুনানি শুরু হয়।
গণশুনানিতে সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাপস কুমার নন্দী বলেন, সাবরেজিস্ট্রার সপ্তাহে দুদিন অফিস করে, তিনদিন করে না। ওনাকে অফিসে গিয়ে লোকজন পায় না।
এসময় যথারীতি অভিযোগ অস্বীকার করেন সাবরেজিস্ট্রার।
গণশুনানিতে সাবরেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আরও কয়েকজন অভিযোগ করেন। এদের একজন রাশেদ আলী।
তিনি বলেন, ৪৫ শতক জায়গা রেজিস্ট্রি করতে সাবরেজিস্ট্রার আমার কাছ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এর মধ্যে দেড় লাখ টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে ও ৩০ হাজার টাকা নগদ নিয়েছেন। এ সংক্রান্ত ডকুমেন্টও তিনি দাখিল করেন।
এসময় দুদক কমিশনার ও গণশুনানির সঞ্চালক জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী সাবরেজিস্ট্রারের কাছে ৪৫ শতক জায়গা রেজিস্ট্রি করতে কত টাকা লাগে তা জানতে চান।
সাবরেজিস্ট্রার জানান, তিনটি খাতে ২৫০, ৩৫০ ও ৫০ টাকা মিলিয়ে মোট ৬৫০ টাকা লাগে।
দুদক কমিশনার ও জেলা প্রশাসক জানতে চান, ৬৫০ টাকা সরকারি বিলের জায়গায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা কিভাবে লাগে।
ক্ষুব্ধ হয়ে দুদক কমিশনার বলেন, আপনার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ। আপনি অফিসে না আসার কারণটা কী? এভাবে হলে তো আপনি চাকরি করতে পারবেন না। দুদক আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে। চাকরি করার অধিকার আপনার নেই।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে সাবরেজিস্ট্রার বলেন, সাবরেজিস্ট্রি অফিসে কোন ঘুষের লেনদেন হয় না।
তার এ কথা শুনে দুদক কমিশনার ও জেলা প্রশাসক সহ উপস্থিত সবাই হেসে ওঠেন।
গণশুনানিতে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধিরা সহ দুদকের কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৭
আইএসএ/আরডিজি/টিসি