রোববার (২০ আগস্ট) রাত ৭টার দিকে মূর্মূষ অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতঘোষণা করেন।
নিহত জহুরুল আলম পৌর সদরের পূর্ব গোমদন্ডী শাহ আহমদ চৌধুরী পাড়ার মৃত মীর আহমদের ছেলে।
নিহতের ছেলে মো.সাজ্জাদ হোসেন জানান, নাশতা শেষে সন্ধ্যায় ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন তার বাবা। বেশকিছুক্ষণ পর বাবার মৃত্যুর সংবাদ পান তারা। কি কারণে তার মৃত্যু হয়ে তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেনি।
এ বিষয়ে উপজেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাপস কান্তি মজুমদার বলেন, আবু তৈয়ব নামের এক অটোরিকশা চালক জহুরুল আলমকে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণ পর তাকে মৃতু ঘোষণা করা হয়।
জহুরুলের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাননি বলে জানান তিনি। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা তিনি বলতে পারেননি।
তবে স্থানীয়রা জানান, পৌর সদরের বুড়ি পুকুর পাড় এলাকায় যুবকদের একটি দল জহুরুল আলমকে অটোরিকশার ভেতর মারধর করে। পরে স্থানীয়রা জহুরুলকে তাদের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়। কিন্তু পৌর সদরের খায়ের মঞ্জিল এলাকায় আবারও ওই যুবকরা গতিরোধ করে জহুরুলকে মারধর করেন। এসময় তিনি তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এর কিছুক্ষণ পর গোমদন্ডী ফুল এলাকায় গিয়ে সড়কের উপর অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান জহুরুল। সেখান থেকে অটোরিকশা চালক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জহুরুলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় পশ্চিম গোমদন্ডীর ছৈয়দ মেম্বার বাড়ির ছুন্নু মিয়ার ছেলে আবু তৈয়বকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
টিএইচ/টিসি