ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কালুরঘাট সেতু না হওয়া বড়ই লজ্জার : ছালাম

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৭
কালুরঘাট সেতু না হওয়া বড়ই লজ্জার : ছালাম বক্তব্য দিচ্ছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম

চট্টগ্রাম: ‘চট্টগ্রাম মহানগরে ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হলে মাত্র ৮শ থেকে এক হাজার কোটি টাকায় কালুরঘাট সেতু না হওয়া বড়ই লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।

পাশাপাশি সরকারের ২০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজে যদি কেউ ২০ টাকার দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারলে সুইসাইড করার কথাও জানান তিনি।

রোববার (২০ আগস্ট) বোয়ালখালী উপজেলার জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারস’ ৭১ ফোরামের আলোচনা সভায় বোয়ালখালীবাসীর উদ্দেশ্যে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনের আহ্বায়ক যুদ্ধকালীন বিএলএফ কমান্ডার রাজেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ।

আবদুচ ছালাম বলেন, ‘ কালুরঘাট সেতু আমার নির্বাচনী এলাকার মধ্যে পড়েছে।

২০০৮ ও ২০১৪ সালে দুইবার দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। জননেত্রী আমাকে সিডিএর চেয়ারম্যান করেছেন। আমি নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম। সেতুর বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু এমপি সাহেব বলেছেন, সিডিএ’র দরকার নেই, তিনিই করবেন। তাই এগোয়নি সেতুর ব্যাপারে, যদি আগামীতে সুযোগ পাই তবে কথা দিচ্ছি সেতু হবে। ’

মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ জাতি কখনো শোধ করতে পারবে না জানিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান আরও বলেন, বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে। বারবার তা নস্যাৎ করে দিয়েছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালিরা। পরাজিতরা থেমে ছিলো না। ১৯৭৫ সালে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও তাঁর বংশধরদের হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালিদের ২১টি বছর অন্ধকারে রেখেছিল পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসররা। ২১ বছর ২১ বার বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস পালন হয়েছিল। কিন্তু এই ৪২ বারে একটি বারও বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করেনি।  তবে আল্লাহপাক তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেননি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন নির্মম এ হত্যাযজ্ঞ থেকে। এরপর ২১ বছরে কোথাও বঙ্গবন্ধুর কথা বলা হয়নি। আওয়ামী লীগ চিরতরে নিঃশেষ করে দিতে বারবার নির্মম নির্যাতন ও হামলা করেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। মুছে দিতে চেয়েছিল নাম নিশানা। কিন্তু বাঙালি তা মেনে নেয়নি। ’

দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিনকে উদ্দেশ্যে করে ছালাম বলেন, ‘কর্ণফুলীর ওপাড়ে আমি আর এপাড়ে উনি। প্রধানমন্ত্রী যদি উনাকে মনোনয়ন দেন আমার সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। আর আমাকে যদি দলীয় মনোনয়ন দেন তাহলে উনার সহযোগিতা আমার কাম্য। ’

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি চারণ করে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশ থেকে এনে দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করতে সরকার কাজ করছে। এছাড়াও দলীয় মনোনয়ন যিনিই পান তাকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ’

মুক্তিযোদ্ধা আ হ ম নাছির উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমদ, জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কানাই লাল দাশ, শিক্ষক নেতা কমরেড সুনীল চক্রবর্তী, শিক্ষক আবুল মোহছেন, মুক্তিযোদ্ধা আবুল বশর, আবদুল লফিত, উদয়ন নাগ, এসএম ইসহাক চৌধুরী, অমল নাথ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল আলম জাহাঙ্গীর, বোরহান উদ্দিন এমরান, পৌরসভার প্যানেল মেয়র এসএম মিজানুর রহমান, কাউন্সিলর শামীম আরা বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান মোকারম, এসএম জসিম, আবদুর রব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময় : ১৮৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০ আগস্ট ২০১৭

এসবি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।