ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভালো ফলাফলে ‘চাকরির’ সুযোগ ইডিইউতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
ভালো ফলাফলে ‘চাকরির’ সুযোগ ইডিইউতে ভালো ফলাফলে ‘চাকরির’ সুযোগ ইডিইউতে, ছবি: উজ্জ্বল ধর, বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় তলার গ্রন্থাগার। সময় দুপুর ২টা। মাত্র পরীক্ষা শেষ হয়েছে তখন। এরইমধ্যে গ্রন্থাগারে ভিড়। গ্রন্থাগারিক থেকে বই সংগ্রহ করে পড়া শুরু করেছেন মাইশা ফাইরোজ আহমেদ ও তার বান্ধবী উম্মে হানি। তারা দুজনই ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নবম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তাদের এই প্রতিযোগিতার কারণ সেমিস্টার পরীক্ষায় ফাস্র্ট ক্লাস ফাস্র্ট হওয়া। আর এর পেছনে রয়েছে ভিন্ন কারণ।

মাইশা আবার ফলাফলে ফাস্র্ট ক্লাস ফাস্র্ট। সেটি ধরে রাখতেই গ্রন্থাগারে বিভিন্ন রেফারেন্সের বই পড়েন।

অন্যদিকে মাইশাকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান দখল করতে চান উম্মে হানি। শুধু মাইশা কিংবা হানি নয় অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাও এরকম প্রতিযোগিতায় থাকেন।

এবার আসা যাক মূল কথায়। ইডিইউ শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যত চাকরির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকরির প্রস্তাব পান। যারা সেমিস্টারে ফাস্র্ট ক্লাস ফাস্র্ট কিংবা সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩.৫ পান তারাই এ প্রস্তাব পান। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করার একটা প্রতিযোগিতা থাকে। আর এই প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠেন ভালো ও মেধাবী।

মাইশা বাংলানিউজকে বলেন, ‘নবম সেমিস্টার পর্যন্ত আমার সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৪ আছে। এই পয়েন্টে আমি ফাস্র্ট ক্লাস ফাস্র্ট হয়েছি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে পার্টটাইম চাকরির সুযোগ দিয়েছে। যখন ক্লাস থাকে তখন ক্লাস করি। ক্লাস শেষে এখানে কিছু সময় দেই। ’ 

ভালো ফলাফলে ‘চাকরির’ সুযোগ ইডিইউতে

উম্মে হানি বাংলানিউজকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে এরকম প্রতিযোগিতা আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে বলে আমি জানি না। এখানে সারাক্ষণই আমরা পড়ালেখার মধ্যে থাকি। লাইব্রেরি ওয়ার্ক করি এবং বিভিন্ন রেফারেন্স বই পড়ে নিজেকে তৈরি করি। ’

জানতে চাইলে ইডিইউর ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘যেসব ছেলে-মেয়েরা প্রতি সেমিস্টারে ৩.৫০ পান তাদেরকে খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ দেওয়া হয় এই প্রতিষ্ঠানে। এর মাধ্যমে পড়ালেখার পাশাপাশি নিজেদের দক্ষ হয়ে গড়ে তোলার বাড়তি আনন্দ পায় তারা। পড়ালেখা শেষে তারা খণ্ডকালীন কাজের বিশেষ অভিজ্ঞতাপত্রও নিয়ে যায়। বিদেশে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে এই ধরনের পদ্ধতি চালু আছে। ’

২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করা ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটি মেধা তৈরির কারিগর হিসেবে এখনো কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার বাজারে ছেলে মেয়েরা যাতে সঠিক জায়গায় পৌঁছতে পারে সেদিকেই বেশি নজর দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭

জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad