মাইশা আবার ফলাফলে ফাস্র্ট ক্লাস ফাস্র্ট। সেটি ধরে রাখতেই গ্রন্থাগারে বিভিন্ন রেফারেন্সের বই পড়েন।
এবার আসা যাক মূল কথায়। ইডিইউ শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যত চাকরির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি পার্টটাইম চাকরির প্রস্তাব পান। যারা সেমিস্টারে ফাস্র্ট ক্লাস ফাস্র্ট কিংবা সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩.৫ পান তারাই এ প্রস্তাব পান। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করার একটা প্রতিযোগিতা থাকে। আর এই প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠেন ভালো ও মেধাবী।
মাইশা বাংলানিউজকে বলেন, ‘নবম সেমিস্টার পর্যন্ত আমার সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৪ আছে। এই পয়েন্টে আমি ফাস্র্ট ক্লাস ফাস্র্ট হয়েছি। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে পার্টটাইম চাকরির সুযোগ দিয়েছে। যখন ক্লাস থাকে তখন ক্লাস করি। ক্লাস শেষে এখানে কিছু সময় দেই। ’
উম্মে হানি বাংলানিউজকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে এরকম প্রতিযোগিতা আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে বলে আমি জানি না। এখানে সারাক্ষণই আমরা পড়ালেখার মধ্যে থাকি। লাইব্রেরি ওয়ার্ক করি এবং বিভিন্ন রেফারেন্স বই পড়ে নিজেকে তৈরি করি। ’
জানতে চাইলে ইডিইউর ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘যেসব ছেলে-মেয়েরা প্রতি সেমিস্টারে ৩.৫০ পান তাদেরকে খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ দেওয়া হয় এই প্রতিষ্ঠানে। এর মাধ্যমে পড়ালেখার পাশাপাশি নিজেদের দক্ষ হয়ে গড়ে তোলার বাড়তি আনন্দ পায় তারা। পড়ালেখা শেষে তারা খণ্ডকালীন কাজের বিশেষ অভিজ্ঞতাপত্রও নিয়ে যায়। বিদেশে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে এই ধরনের পদ্ধতি চালু আছে। ’
২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করা ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটি মেধা তৈরির কারিগর হিসেবে এখনো কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার বাজারে ছেলে মেয়েরা যাতে সঠিক জায়গায় পৌঁছতে পারে সেদিকেই বেশি নজর দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৭
জেইউ/টিসি