শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত 'নান্দনিক চট্টগ্রামে নন্দিত নাগরিক' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র এ মন্তব্য করেন।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মেয়র বলেন, যাত্রী তোলার জন্য প্রতিটি মোড়ে গণপরিবহনগুলো এলোমেলো, আড়াআড়িভাবে দাঁড়িয়ে থাকে।
নামসর্বস্ব যাত্রীছাউনি অতীতে অনেক হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, পাশাপাশি মোড় থেকে যতটুকু দূরে সম্ভব বিশ্বমানের যাত্রীছাউনি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তখন আমরা গণপরিবহনকে বাধ্য করতে পারব শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে।
সেপ্টেম্বরেই ফুটপাতের হকারদের শৃঙ্খলায় আনার ব্যাপারে স্থায়ী সমাধান হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, হকাররা সংগঠিত শক্তি। নগরে ১৫-২০ হাজার হকার আছে। তাদের রেজিস্ট্রার্ড সংগঠন আছে অনেক। আমি তাই লক্ষ্য স্থির করে ধীরগতিতে এগিয়েছি। লক্ষ্যে অবিচল ছিলাম, আছি এবং থাকব। আমি চেয়েছি সাপও মরুক লাঠিও না ভাঙুক। যাতে হকারদের নিয়ে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে।
তিনি বলেন, ১ সেপ্টেম্বর টার্গেট ঠিক করেছি। ২ সেপ্টেম্বর কোরবানির ছুটি শুরু হচ্ছে। এরপরই হকারদের রাস্তা ছেড়ে দিতে হবে। ফুটপাতের নির্দিষ্ট একটি অংশ রং দিয়ে মার্কিং করে দেব। সেখানে কাপড় বিছিয়ে হকাররা পণ্যসামগ্রী বিক্রি করবেন বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। তাদের আমরা ছবিসহ আইডি কার্ড দেব। ইতিমধ্যে চসিকের ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে হকারদের জরিপ করেছি। ভিডিও করেছি। হকার সমিতি থেকে তালিকা নিয়েছি। কাউন্সেলিং করেছি। সব স্টিল স্ট্রাকচার তুলে ফেলা হবে। রোদ-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে বিশ্রীভাবে ত্রিপল, পলিথিন যে যার মতো ব্যবহার করতে পারবে না। আমরা একই রঙের ছাতা দিয়ে দেব।
এক প্রশ্নের উত্তরে মেয়র বলেন, পরিকল্পনা নিখুঁত না হলে, বাস্তবায়নে তাড়াহুড়ো করলে বুমেরাং হয়ে যায়। চসিকে দক্ষ ও প্রয়োজনীয় লোকবল চসিকে নেই। অর্গানোগ্রাম নেই। আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় অর্থ ও জনবলের সীমাবদ্ধতা ছিল। দুই বছরের মধ্যে একটি পর্যায়ে এনেছি। এ বছর থেকে অনেক কিছু দৃশ্যমান হবে। ২০১৮ সালের মধ্যে পুরো শহরকে এলইডি লাইটিংয়ের আওতায় আনব। ডোর টু ডোর কার্যক্রমকে শতভাগে উন্নীত করব।
সাধারণ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চান মেয়র নাছির
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
এআর/টিসি