ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সাধারণ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চান মেয়র নাছির

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭
সাধারণ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চান মেয়র নাছির সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে মেয়র নাছির

চট্টগ্রাম: সাধারণ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চান বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব আয়োজিত ‘নান্দনিক চট্টগ্রামে নন্দিত নাগরিক’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সিনিয়র সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, আমি নিজেকে নন্দিত নাগরিক মনে করি না।

সাধারণ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই। আমাকে বর্তমান অবস্থায় আসতে অনেক চড়াই উৎরাই পেরোতে হয়েছে।
পথটা মসৃণ ছিল না। আমি বিশ্বাস করি, শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। সত্য উদ্ভাসিত হবে।

মেয়র বলেন, দেশের সব সিটি করপোরেশন এক আইনে পরিচালিত হচ্ছে। হোল্ডিং ট্যাক্স বলা হলেও এর মধ্যে গৃহকর, পরিচ্ছন্ন রেইট, আলোকায়ন রেইট মিলে ১৭ শতাংশ নিচ্ছি। রিট খারিজ হওয়ায় কর নিয়ে আর বাধা নেই।

প্রেসক্লাবের পিএইচপি ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার। স্বাগত বক্তব্য দেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ। সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি (সিইউজে) রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চিটাগাং টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম সাংবাদিক হাউজিং কো-অপারেটিভ সোসাইটির সভাপতি স্বপন মল্লিক, সিইউজে সাধারণ সম্পাদক মো. আলী, সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস প্রমুখ।

জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক উল্লেখ করে আবু সুফিয়ান বলেন, এখন ঢাকা শহরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে। চট্টগ্রামে এটি পুরনো সমস্যা। সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক সহযোগিতা দেবেন।

কলিম সরওয়ার বলেন, ১৯৬০ সাল থেকে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যা রয়েছে। একটি ম্যাচিউর পরিকল্পনা বাদ দিয়ে একটি সমীক্ষা ছাড়া প্রকল্প একনেক অনুমোদন দিয়েছে। এটি দুঃখজনক।

মেয়রকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি নগরপিতা। সমন্বয়ের দায়িত্ব পরিপত্র করে দেওয়া হয়েছে। আপনাকে জিততে হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনের বড় প্রকল্প আপনি পাননি। কিন্ত আপনার সাধ্যের মধ্যে চট্টগ্রামের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, মশার ওষুধ দিয়েছেন প্রতিটি ওয়ার্ডে। কিন্তু ছিটানো হচ্ছে না। জামালখানসহ কয়েকটি ওয়ার্ড ছাড়া অন্য কাউন্সিলররা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না।

মেয়রকে ‘মহানাগরিক’ আখ্যা দিয়ে রিয়াজ হায়দার চৌধুরী বলেন, সাংবাদিকরা মেডিকেলে, খেলার মাঠে, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আক্রান্ত হয়েছে। আসন্ন নির্বাচন, রাজনীতি নিয়ে সাংবাদিকদের ঝুঁকি বাড়ছে। এ অবস্থায় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মেয়রকে সাংবাদিকদের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে হবে।

হাসান ফেরদৌস বায়েজিদের শেরশাহ সাংবাদিক হাউজিং সোসাইটির সড়কগুলোর সংস্কার, সড়কবাতি লাগানো ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং স্কুল নির্মাণের আহ্বান জানান।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ যানজটমুক্ত নগরী, ফুটপাত দখলমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মঞ্চ সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক, মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক দেবপ্রসাদ দাশ দেবু, সিনিয়র সাংবাদিক পঙ্কজ দস্তিদার, এম নাসিরুল হক, কবি ওমর কায়সার, নুরুল আলম, মাখন লাল সরকার, ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি কাজী আবুল মনসুর, সহসভাপতি মনজুর কাদের মনজু, কবি নাজিমুদ্দিন শ্যামল, ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, রাশেদ মাহমুদ, নজরুল ইসলাম, ম. শামসুল ইসলাম, মিন্টু চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৭

এআর/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।