ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কোরবানিতে জবাই হবে ৬ লাখ পশু

মো.মহিউদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
কোরবানিতে জবাই হবে ৬ লাখ পশু ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহায় ৫ লাখ ৯১ হাজার পশু (গরু,মহিষ, ছাগল, ভেড়া) জবাইয়ের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ৫১ হাজার বেশি। গত বছর ৫ লাখ ৪০ হাজার পশু জবাই হয়েছিল।

 

জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের হিসেব মতে, গত ২১ জুলাই পর্যন্ত নগরী ও ১৪ উপজেলায় কোরবানিযোগ্য ৫ লাখ ২ হাজার পশু মজুদ রয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৮৯ হাজার কম।

তবে ঈদের আগেই লক্ষমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করছেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, বুধবার পর্যন্ত ৮ শতাংশ বেড়েছে।

ঈদের আগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চট্টগ্রামে গরু আসবে। এতে লক্ষমাত্রা পূরণ হয়ে আরও উদ্বৃত্ত থাকবে। ফলে ভারতীয় গরু না আসলেও কোরবানিতে পশু সংকটের সম্ভাবনা নেই।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেয়াজুল হক বাংলানিউজকে জানান, পাঁচ লাখ ২ হাজার ৪৩০টি পশুর মধ্যে ২ হাজার ৯৪ জন খামারির কাছে রয়েছে ২ লাখ ৯৭২টি পশু। এছাড়া পারিবারিক পর্যায়ে পশুর মজুদ তিন লাখ ১ হাজার ৪৫৮টি। এরমধ্যে গরুর মজুদ ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭১০, ছাগল-ভেড়া ১ লাখ ২০ হাজার ৭০৫ এবং ৩৮ হাজার ১৫ টি মহিষ।

জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের তথ্য মতে, মিরসরাই উপজেলায় ১৪৭ খামার ও পারিবারিক পর্যায়ে ২৪ হাজার ৫৩৭ গরু, ১০ হাজার ৭৪৫ ছাগল-ভেড়া রয়েছে ও ৫ হাজার ২০০ মহিষ মজুদ রয়েছে। সীতাকুণ্ডের ১৩৭ খামার ও পারিরারিক পর্যায়ে ২২ হাজার ৬৩৭ গরু, ৮ হাজার ৯৪০ ছাগল-ভেড়া ও ১ হাজার ৫২৫ টি মহিষ মজুদ আছে। সন্দ্বীপের ১৪৮ খামারী ও ব্যাক্তি পর্যায়ে ২৪ হাজার ৭৬২ গরু, ১৬ হাজার ৩০৭ ছাগল-ভেড়া ও ৭ হাজার ২০টি মহিষ রয়েছে। হাটহাজারীর ১২৩ খামার ও স্থানীয়ভাবে ২০ হাজার ৭৩৪ গরু, ৮ হাজার ২৯৫ ছাগল-ভেড়া ও ২ হাজার ২৭০টি মহিষ, রাউজানে ১৩৭ খামার ও ব্যক্তিপর্যায়ে ২২ হাজার ৬৪২ গরু, ৬ হাজার ৮৯৫ ছাগল-ভেড়া ও ২ হাজার ৫টি মহিষ, রাঙ্গুনীয়ায় ১৪৩ খামার ও ব্যক্তি পর্যায়ে ২৩ হাজার ১৫৭ গরু, ৭ হাজার ৮২ ছাগল-ভেড়া ও ১ হাজার ৮৭৫ মহিষ আছে।

ফটিকছড়িতে ১৫৯ খামার ও ব্যাক্তির কাছে ২৬ হাজার ৫৩৫ গরু, ১০ হাজার ৬৫৪ ছাগল-ভেড়া ও ২ হাজার ৬০৫টি মহিষ, বোয়ালখালীতে ১৪৪ খামার ও পারিবারিকভাবে ২৩ হাজার ৪৬৯ গরু, ৬ হাজার ৯৫৭ ছাগল-ভেড়া ও ৩ হাজার ১০টি মহিষ, আনোয়ারায় ১৫২ খামার ও ব্যাক্তি পর্যায়ে ২৪ হাজার ৩৮২ গরু, ৯ হাজার ৮৯৪ ছাগল-ভেড়া ও ২ হাজার ৫০৫টি মহিষ, পটিয়াতে ১৯৪ খামার ও পরিবারে ৩৪ হাজার ১৯৭ গরু, ৯ হাজার ৫৪ ছাগল-ভেড়া ও ২ হাজার ৫০৫টি মহিষ, চন্দনাইশে ১৪২ খামার ও ব্যক্তি পর্যায়ে ২২ হাজার ৬৬৫ গরু, ৬ হাজার ৩৪০ ছাগল-ভেড়া ও ১ হাজার ১২৫টি মহিষ, সাতকানিয়ায় ১৩৯ খামার ও ব্যক্তির কাছে ২২ হাজার ৬৬৫ গরু, ৬ হাজার ৬৩৩ ছাগল-ভেড়া ও ১ হাজার ৮৭৫টি মহিষ রয়েছে।

এছাড়া বাঁশখালীর ১২৯ খামার ও ব্যক্তি কাছে ১৯ হাজার ৩১৭ গরু, ৮ হাজার ৪৪৮ ছাগল-ভেড়া ও ১ হাজার ২৯৫টি মহিষ, লোহাগাড়ার ১৩০ খামার ও ব্যক্তির কাছে ২১ হাজার ২৯টি গরু, ৫ হাজার ৮৯৮ ছাগল-ভেড়া ও ৮৭৫ মহিষ মজুদ রয়েছে। নগরীর ডবলমুরিং, কোতোয়ালী ও পাঁচলাইশ থানার ৭০ খামার ও কয়েকটি পরিবারে ১৩ হাজার ৭১৮টি গরু, ১ হাজার ৪৬১টি ছাগল-ভেড়া ও ২৩৫টি মহিষ রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭

এমইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।