বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার জানান, বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ছুটির পর বিকেলে এটি ভাঙচুর করা হয়েছে। সন্ধ্যায় নৈশপ্রহরী আবু তাহের বিদ্যালয়ে এসে দেখেন, শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তরের নামফলকটি ভেঙে ফেলে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরীর আর্থিক অনুদানে শহীদ মিনারটি নির্মিত হয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম ওয়াশিকা আয়েশা খান।
১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার ছিল না। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছর পর স্থাপিত শহীদ মিনারে ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো পুষ্পস্তবক করার সুযোগ পেয়েছিল বিদ্যালয়ের আট শতাধিক শিক্ষার্থী।
ঘটনার বিষয়ে সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাছানুজ্জামান মোল্লা বলেন, ‘শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর ভাঙচুর চরম অন্যায় কাজ। যারা এমন অপকর্ম করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘন্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এসবি/টিসি