ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এই কান্নার শেষ কোথায়?

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এই কান্নার শেষ কোথায়? এই কান্নার শেষ কোথায়?

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর খুনিদের বিচার চেয়ে ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তার মা জাহেদা আমিন চৌধুরী। এ সময় তিনি হত্যা মামলার আসামিরা মোবাইলে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে প্রায় এক ঘণ্টা কাঁদেন এই মা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির সভাপতি একেএম মাহফুজুল হক এগিয়ে এসে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

এর আগেও চলতি বছরের ৮ মে দিয়াজের রক্তমাখা ছবি হাতে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আমানত হলের সামনে থেকে গোলচত্বর পর্যন্ত হেঁটে হেঁটে দিয়াজ হত্যার বিচার চেয়েছিলেন তিনি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে দিয়াজের মা বলেন, ‘খুনি তোরা চুরি করে মোবাইলে কেন হুমকি দিচ্ছস।

আমাকে প্রকাশ্যে এসে হুমকি দে, আমি এখানে (বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বর) আছি। যা কিছু করার, এখানেই কর। ’

দিয়াজ যে বাসায় খুন হন সেই বাড়ির কেয়ারটেকারের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তাকে আপনারা (বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন) কেন চাকরি দিয়েছেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে? কতই-তো বলেছিলেন, আমি নাটক করেছি। আমার সন্তান হত্যার বিচার হবেই। কেউ রেহাই পাবে না। ’

২০১৬ সালে ২০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মৃত্যুর পর থেকে মা জাহেদা আমিন চৌধুরী বলে আসছিলেন দিয়াজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যখন দিয়াজের প্রথম ময়নাতদন্তে আত্মহত্যা বলে রিপোর্ট আসছিল তখনও তিনি তার সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলেন। প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে ন্যায়বিচারের আশায় আদালত পর্যন্ত যান তিনি। সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে আদালতে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলাও করেন।

ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি (বর্তমানে কমিটি স্থগিত) আলমগীর টিপু, কর্মী রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ওমোহাম্মদ আরমানের নাম উল্লেখ করা হয়।

আদালত মামলা গ্রহণ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সিআইডিকে দায়িত্ব দেন। সিআইডি তদন্তের স্বার্থে দিয়াজের মরদেহ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠান।

সাত মাস পর দিয়াজের দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সিআইডিকে জমা দেয় ঢাকার ফরেনসিক বিভাগ। সেখানে দিয়াজের মৃত্যু হত্যামূলক বলে উল্লেখ করা হয়। সর্বশেষ গত ৭ আগস্ট আদালত আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশনা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ১৭ আগস্ট, ২০১৭

জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।