ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৭ শতাংশ কর আদায় কার্যক্রম যথাযথ: চসিক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
১৭ শতাংশ কর আদায় কার্যক্রম যথাযথ: চসিক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন

চট্টগ্রাম: ৭ শতাংশ গৃহকর (হোল্ডিং ট্যাক্স), ৭ শতাংশ পরিচ্ছন্ন কর ও ৩ শতাংশ আলোকায়ন কর মিলে চসিকের ১৭ শতাংশ পৌরকর আদায়কে ‘যথাযথ’ জানিয়েছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিকেলে বাংলানিউজকে মেয়র বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে মোহাম্মদ জহিরুল হক গং কর্তৃক দায়ের করা রিট পিটিশন (নম্বর: ৩৭৫৫/২০১৭) আদালত বুধবার (১৬ আগস্ট) প্রচারিত রায়ে খারিজ করে দিয়েছেন।

চসিকের জনসংযোগ বিভাগ জানিয়েছে, কর বিধি অনুসারে পঞ্চবার্ষিকী কর মূল্যায়নকালীন রিট মামলা দায়েরকারী মুহাম্মদ জহিরুল হক গং বরাবরে কর বিধি ১৯৮৬ অনুবলে ২২ বিধি মতে ঘর ও ভূমির মূল্যায়ন তালিকা দাখিলের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়।

উক্ত নোটিশের সাথে কর বিধিতে উল্লেখিত নিজ উদ্যোগে কর নির্ধারণী ফরম ‘বি’ সরবরাহ করা হয়। উক্ত নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে উক্ত আবেদনকারীরা মহামান্য হাইকোর্ট ডিভিশনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দায়ের করেন।
উক্ত মামলায় আদালত নিজ উদ্যোগে কর নির্ধারণী ফরম সংযুক্ত করে ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর ও ৩০ ডিসেম্বর ইস্যু করা নোটিশের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে এবং চসিককে রিট আবেদনকারীগণ হতে আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ এর ক্লজ-৩ অনুসারে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের নির্দেশনাসহ এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, সিটি করপোরেশন আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ এর বর্ণিত ক্লজ ৩, ৫, ৬ ও ৮ অনুসারে গৃহকর ৭ শতাংশ, পরিচ্ছন্ন রেইট ৭ শতাংশ, আলোকায়ন রেইট ৫ শতাংশ ও স্বাস্থ্য কর ৮ শতাংশ মিলে সর্বমোট ২৭ শতাংশ হারে থাকা সত্ত্বেও চসিক গৃহকর ৭ শতাংশ, পরিচ্ছন্ন রেইট ৭ শতাংশ ও আলোকায়ন রেইট ৩ শতাংশ হারে মোট ১৭ শতাংশ হারে কর ও রেইট আদায় করে থাকে।

বর্ণিত মামলায় মাননীয় আদালতের নির্দেশনানুসারে সিটি করপোরেশন ট্যাক্সেশন রুলস ১৯৮৬ ও আদর্শ কর তফসিল ২০১৬ মতে গৃহকর, পরিচ্ছন্ন রেইট ও আলোকায়ন রেইট আদায় করার বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে আদালতে পেশ করা হয়। বর্ণিত রিট মামলাটি বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত মহামান্য হাইকোর্ট বেঞ্চে গত ০৭, ০৮ ও ১০ আগস্ট শুনানি হয়।

শুনানি শেষে আদালত রিট মামলাটি খারিজসহ গত ২১ মার্চ জারি করা  অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার আদেশ ভ্যাকেট করে রায় দেন। অর্থাৎ রিট আবেদনকারীদের রিট মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭

এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।