চট্টগ্রামের এ যাবত কালের বৃহত্তম এ আসরে ৪২টি স্কুলের ১২৬ জন বিতার্কিক, ৪৫ জন বিচারক ও ৯০ জন অবজারভার অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শুরুর আগে দৃষ্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মাসুদ বকুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
এতে অতিথি হিসেবে সুপ্রভাত বাংলাদেশের সহকারী সম্পাদক কবি কামরুল হাসান বাদল, রোটারি ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল জেলা ৩২৮২ এর ডেপুটি গর্ভনর জিন্নাহ চৌধুরী ও বিশিষ্ট আবৃত্তিকার মিলি চৌধুরী। বক্তব্য দেন দৃষ্টির সহ-সভাপতি বনকুসুম বড়ুয়া, শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন মুন্না, জুনায়েদ কৌশিক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রতিযোগিতা সমন্বয়কারী কাজী আরফাত ও প্রতিযোগিতার প্রধান বিচারক ঊর্মি আচার্য।
কামরুল হাসান বাদল বলেন, পৃথিবীর উন্নত জাতিগুলোর সমাজ ব্যবস্থা যুক্তি নির্ভর। তারা অশিক্ষা, কুসংস্কারকে আবেগ দিয়ে গ্রহণ করে না, যুক্তি দিয়ে বর্জন করে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, উপদেশে উপদেশে তোমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। তোমাদের আজ আনন্দময় শৈশব নেই। তোমরা এক একটি রোবটে পরিণত হচ্ছ। এ থেকে তোমাদের বের হয়ে আসতে হবে।
এবারের প্রতিযোগিতা ছিল চট্টগ্রামের সাংগঠনিক বিতর্ক প্রতিযোগিতার ২৫ বছর পূর্তি। স্কুল বিতর্কের ২৫তম এ আয়োজনে চট্টগ্রামের ৪২টি স্কুলের ৪৮টি, ১৪তম বিশ্ববিদ্যালয় বিতর্কে সারা দেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২টি এবং প্রথম কলেজ ইংরেজি বিতর্কে ১২টি কলেজসহ ৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৯২টি বিতর্ক দল অংশ নিচ্ছে। ১৪ দিনব্যাপী এ প্রতিযোগিতার সমাপনী ২৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এআর/টিসি